ধনেপাতায় কৃষকের মুখে হাসি

ধনেপাতায় কৃষকের মুখে হাসি

নিউজ ডেস্ক: কুমিল্লা জেলার বরুড়ায় ধনেপাতা চাষ করে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। অনেক কৃষক লাভজনক এ চাষের মাধ্যমে ফিরে পাচ্ছেন আর্থিক সচ্ছলতাও। উপজেলার হরিপুর, কালীর বাজার এলাকার উর্বর পলি মাটিতে ধনেপাতা চাষে বেশ সফলতা পাচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। উর্বর পলি মাটিতে খুবই দ্রুত বেড়ে উঠে ধনেপাতা গাছ। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ধনিয়ার পাতা মসলা বা খাদ্য সুগন্ধিকারক হিসেবে দেশে ব্যবহার করা হয়। সাধারণত এর কাঁচা পাতা ব্যবহার হয়। শুকালে এর পাতার তীব্র সুগন্ধ নষ্ট হয় না। ধনিয়া যে শুধু রান্নাকে সুগন্ধময় ও সুস্বাদু করে তা-ই নয়, এর ভেষজ গুণও আছে। জ্বর, হাইপার টেনশন, অ্যাজমা, পাকস্থলীর জ্বালা-পোড়া, কৃমি, সাপে কামড়ানো, ডায়রিয়া, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি রোগের চিকিৎসায় ধনিয়া সফলভাবে ব্যবহার হয়ে আসছে। বরুড়ার হরিপুর এলাকার ধনেপাতা চাষি মো. আলমগীর হোসেন জানান, ধনেপাতা চাষ অত্যন্ত লাভজনক। এটির ফল খুব দ্রুতই পাওয়া যায়। জানান, এ বছর ২০ শতক জমিতে ধনেপাতা চাষ করেছেন তিনি। বর্তমানে ধনেপাতার বাজার দরও ভালো। বরুড়ায় উৎপাদিত ধনেপাতা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে জেলার বিভিন্ন হাটবাজারেও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

এ বিষয় কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জানায়, ধনেপাতা মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় এবং চাহিদাপূর্ণ একটি উপাদান। প্রতিটি পরিবারে তরিতরকারি রান্নার কাজে এটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এছাড়াও ধনিয়া পাতার রয়েছে ১১ জাতের এসেনশিয়াল অয়েল, ছয় ধরনের এসিড, ভিটামিন, মিনারেল এবং অন্যান্য ফাইবার, ম্যাংগানিজ আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-কে,

ফসফরাস, ক্লোরিন ও প্রোটিন। এ উদ্ভিদ অ্যান্টিসেপ্টিক, অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং যে কোনো চুলকানি ও চামড়ার জ্বলনে গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ হিসেবে কাজ করে থাকে। তাই ধনেপাতা চাষে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা কৃষি বিভাগ করে যাচ্ছে। বাসস