দেশে উৎপাদিত মাছের এক-দশমাংশের বেশি ইলিশ : ছায়েদুল হক

ঢাকা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক বলেছেন, বাংলাদেশের মোট উৎপাদিত মাছের এক-দশমাংশের বেশি শুধু ইলিশ। একক প্রজাতি হিসেবে ইলিশের অবদান সর্বোচ্চ। তিনি আজ সংসদে সরকারি দলের সদস্য মোসলেম উদ্দিনের এক প্রশ্নের জবাবে আরো বলেন, জাটকা সংরক্ষণ, অভয়াশ্রম ব্যবস্থাপনা এবং ইলিশ প্রজনন সুরক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে বিগত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন প্রায় ৪ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন ছিল ৩ দশমিক ৮৭ লাখ মেট্রিক টন, যা ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ছিল ২ দশমিক ৯৯ লাখ মেট্রিক টন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির অন্যতম কৌশল হচ্ছে জাটকা সংরক্ষণ ও মা ইলিশ রক্ষা।
তিনি বলেন, ২০০৮-০৯ থেকে ২০১৫-১৬ পর্যন্ত এ সরকারের বিগত ৮ বছরে ১৫ জেলার ৮০ উপজেলার ২ লাখ ২৪ হাজার ১০২ জাটকা জেলে পরিবারকে মোট ১ লাখ ৯৬ হাজার ৫৬৯ মে. টন ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। ২০০৪-০৫ থেকে ২০০৭-০৯ পর্যন্ত সময়কালে দেয়া হয়েছিল ৬ হাজার ৯০৬ মে. টন।
মন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় ৩২ হাজার ৫০৯ জন জাটকা জেলেকে বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য উপকরণ হিসেবে রিক্সা, ভ্যান, গরু, ছাগল, সেলাই মেশিন, হাঁস-মুরগি, খাঁচায় মাছ চাষ উপকরণ, ক্ষুদ্র ব্যবসা উপকরণ, নার্সারি স্থাপন ইত্যাদি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রম অধিকতর জোরদার করার জন্য প্রটেকশন এন্ড কনজার্ভেশন অব ফিস রুলস, ১৯৮৫ সংশোধন করে ৫টি এলাকায় ইলিশ অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়েছে। ইলিশ মাছের প্রধান প্রজনন মৌসুম আশ্বিন মাসে প্রথম উদিত চাঁদের পূর্ণিমার দিনসহ আগের ৪ দিন ও পরের ১৭ দিনসহ মোট ২২ দিন ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ করে মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ বিধিমালা সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে প্রধান প্রজনন মৌসুম ১৫ দিন ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ ছিল। ছায়েদুল হক বলেন, দেশের পুকুর-দিঘিতে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বার্ষিক হেক্টর প্রতি গড় মৎস্য উৎপাদন ৪ দশমিক ৩৩ মে. টনে উন্নীত হয়েছে, যা ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ছিল ২ দশমিক ৯৯ মে. টন।