দেশের বৃহত্তম চুনাপাথর খনির সন্ধান নওগাঁয়
তিনি বলেন, ‘এই খনিজ সম্পদটি আর আমদানি করতে হবে না বাংলাদেশকে। সিমেন্টের কাঁচামাল হিসেবে যার ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। বাংলাদেশ ভু-তাত্ত্বিক জরিপ বিভাগের বিজ্ঞানীরা এই খনি আবিষ্কার করেছেন। ২২১৪ ফুট মাটির গভীরে এর সন্ধান মিলেছে। ওই স্তর থেকে শুরু হয়ে আরও গভীরে বিস্তৃত রয়েছে খনিটি।’
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এরই মধ্যে ৬১ ফুট পর্যন্ত খনন করে চুনাপাথর মিলছে। ড্রিলিং অব্যাহত রয়েছে আশা করা যাচ্ছে আরও অনেক পুরু হবে এই খনিটি। এখন ফিজিবিলিটি স্টাডি করে দেখা হবে এই খনিজ সম্পদ বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলন সম্ভব কিনা। সে কাজে দেড় থেকে দুই বছর সময় লাগবে। আর বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলন করা গেলে বাংলাদেশে সিমেন্ট তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় চুনাপাথর আর বিদেশ থেকে আনতে হবে না।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক ড. নেহাল উদ্দিন জানিয়েছেন, তাজপুরে মাটির নিচের স্তর তাত্ত্বিক তথ্য সংগ্রহ ও অর্থনৈতিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদের অনুসন্ধানে ৩০ সদস্যের একটি অনুসন্ধানী টিম সেখানে কাজ করে যাচ্ছে। সেখানে একটি কূপ খনন করে প্রায় তিন থেকে চার মাস খনিজ সম্পদের অনুসন্ধান চালানো হয় এবং এখনো তা অব্যাহত রয়েছে। অবশেষে বৃহস্পতিবার মাটির একটি স্তর পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর খনিটির ভূ-পৃষ্ট থেকে ২২শ ১৪ ফুট গভীরে এই বড় চুনাপাথর খনির সন্ধান পাওয়া যায়। এই বড় খনিটির সন্ধানে কাজ করেছে বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি)।
তবে এ বিষয়ে তাজপুর স্তর তাত্ত্বিক তথ্য সংগ্রহ ও খনিজ সম্পদের অনুসন্ধান টিমের টিম লিডার জিএসবির প্রধান প্রকৌশলী (ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ) মাহিরুল ইসলাম জানান, তাজপুরে মূল্যবান সম্পদ পাওয়ার জন্য রিক মেশিন দ্বারা মাটির নিচে ২২শ ১৪ ফুট গভীর করে কুপ খননের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীা চালানো হয়। তবে চুনা পাথরের বিষয়টি এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কারণ ১৯ এপ্রিল মাটির একটি স্তর পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ রিপোর্টের ফলাফল এখন পর্যন্ত আমার হাতে পৌঁছায়নি।
এ বিষয়ে বদলগাছী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা অলি আহম্মেদ চৌধরী জানিয়েছেন, এখানে খনিজ সম্পদ পাওয়া গেলে এলাকা তথা দেশ পাবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি। আর তাই এমন সু-সংবাদে এলাকাবাসীর পাশাপাশি খুশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও। তবে উত্তোলন কাজ করতে গিয়ে সাধারন মানুষের যে ক্ষতি হবে তা তিনি পুষিয়ে দেবার জোর দাবি জানিয়েছেন।