‘দুই মামলায় জামিন হলেই খালেদার মুক্তি’

নিজস্ব প্রতিবেদক  : দুর্নীতির মামলায় কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আর দুই মামলায় জামিন পেলেই মুক্তি পাবেন বলে মনে করছেন তার সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে করা মানহানির পৃথক দুই মামলায় মঙ্গলবার খালেদা জিয়াকে হাইকোর্ট থেকে জামিন দেয়া হয়েছে।
মওদুদ বলেন, বেগম জিয়া কারাবন্দি, বিভিন্ন মামলা দিয়ে তাকে কী করে আরও বেশি দিন জেলখানায় রাখা যায়, সে ব্যবস্থা করেছিল সরকার। যে দুটি মামলায় আজকে হাইকোর্ট পর্যন্ত এসেছে। যেটা হাইকোর্ট পর্যন্ত আসার কথা না।

আর কতটি মামলায় জামিন পেলে তিনি মুক্তি পাবেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আর দুটি মামলায় তিনি জামিন পেলেই মুক্তি পাবেন। একটা হলো- জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা আরেকটা- জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা।

এ দুই মামলাতেই সাজা হয়েছে খালেদা জিয়ার। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই মামলায় খালেদা জিয়াকে ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারক আদালত তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

মওদুদ বলেন, জিয়া চ্যারিটেবল মামলায়ও জামিন আবেদন করা হয়েছে। ওই মামলায় নথি আসতে আর ১২দিন বাকি আছে। আশা করি ১২ দিন পর ওই মামলায় তার জামিন শুনানি হবে।

খালেদা জিয়াকে দুই মামলায় আজ ছয় মাসের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ।

আদালতে আজ খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, নওশাত জমির, একেএম এহসানুর রহমান, মীর হেলাল উদ্দিন ও ফাইয়াজ জিবরান প্রমুখ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফজলুর রহমান খান।

২০১৪ সালে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও ২০১৬ সালে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এই দুই মামলা হয়।

এর আগে, সোমবার (১৭জুন) ওই দুই মামলায় করা জামিন আবেদনের শুনানি শেষে খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে আদেশের জন্য মঙ্গলবার দিন ঠিক করেছিলেন হাইকোর্ট। মামলা দুটি ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।