ত্রিমুখী সামরিক চাপে ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভূরাজনৈতিক ইস্যুতে নিকট ভবিষ্যতে ত্রিমুখী সামরিক চাপে পড়তে পারে ভারত। সীমান্ত সংঘাত ইস্যুতে চীনের পাশাপাশি নেপাল ও পাকিস্তানও দিচ্ছে প্রচ্ছন্ন হুমকি। যেকারণে, সেসব সীমান্তে কড়া নজরদারি বাড়িয়েছে নয়াদিল্লি। তবে, সেনামৃত্যুর ঘটনায় দেশের অভ্যন্তরেও প্রশ্নবিদ্ধ মোদি প্রশাসন।

দফায়-দফায় সামরিক-কূটনৈতিক বৈঠক আর সমঝোতায়ও আসেনি চীন-ভারত সীমান্তে স্থিতিশীলতা। বরং, স্যাটেলাইট ইমেজ আর ঘটনাস্থল থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে লাদাখ ও আশেপাশের এলাকায় বেড়েই চলেছে সেনা উপস্থিতি। গতিবিধি বাড়ছে ভারী সমরযানের।

একে করোনার তান্ডব; তারওপর সীমান্ত উত্তেজনা- সবকিছু নিয়ে কোনঠাসা মোদি প্রশাসন। বিরোধীদের অভিযোগ, গোপনে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের হাতে ভূখন্ড ছাড়ছে প্রধানমন্ত্রী মোদি। দেশের অভ্যন্তরে যখন মোদি প্রশাসন চাপের মুখে, সেসময় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের পূর্বাভাস-চীনের পাশাপাশি সীমান্তে জটিলতা বাড়াতে পারে নেপাল আর পাকিস্তানও।

ইন্সস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের পরিচালক হু সুসাং জানায়, যেকোন দেশের নিয়ন্ত্রণরেখা মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, একই সময় সীমান্ত ইস্যুতে চীন ও নেপালের সাথে গন্ডগোল চলছে ভারতের। আর, কাশ্মির প্রশ্নে পাকিস্তানের সাথে সংকট তো লেগেই আছে। এরমাঝেই, সীমান্তগুলোতে ভারতীয় সেনা উপস্থিতি বৃদ্ধি পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করছে। তাই বলবো- অদূর ভবিষ্যতে ত্রিমুখী সামরিক চাপে পড়তে যাচ্ছে ভারত।

সামরিক উত্তেজনা যখন তুঙ্গে, সেসময় অনেকটা নীরবে আসাম রাজ্যের পানি প্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে ভূটান। কৃত্রিমভাবে তৈরি সেচ চ্যানেলের ওপর নির্ভরশীল বাকসা জেলার ২৬টি গ্রামের লোকজন।