তেল-চিনি-ডালের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে টিসিবিতে

দেশে চলছে টিসিবির ৩ পণ্য বিক্রি

নিজস্ব প্রতিবেদক: তেল, চিনি ও ডালসহ পাঁচটি নিত্য পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশে (টিসিবি)। ভোক্তাদের এসব পণ্য নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। সোমবার টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির এ তথ্য জানিয়েছেন।
টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বলেন, আমাদের হাতে তেল-চিনি-মসুর ডালের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। এ বিষয়ে ভোক্তার কোনো চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। ক্রেতারা টিসিবির ট্রাক থেকে থেকে তা কিনতে পারবেন। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যে পাঁচটি পণ্য ন্যায্যমূল্যে বিক্রি হয়; সবগুলোরই পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। এখন পর্যন্ত যে পণ্য আছে তা দিয়ে রজমান পর্যন্ত তো স্বাভাবিক কার্যক্রম চলবেই, বরং আরও বেশি সময় চলার মতো আমাদের মজুদ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সারাদেশে ২৫০ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি হচ্ছে। আর ঢাকায় ৬০টি ট্রাকে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন ১৫০ ডিলার তাদের বরাদ্দ নিচ্ছেন। আমরা এখন আরও বেশি করে পণ্য দেওয়ার চেষ্টা করছি।

কারওয়ানবাজার ও প্রেসক্লাব ঘুরে দেখা গেছে, ন্যয্যমূল্যে টিসিবির পণ্য কিনতে ক্রেতারা দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করছেন। টিসিবিতে পেঁয়াজ ৩৫ টাকা, চিনি ৫০ টাকা, মসুর ডাল ৫০ টাকা কেজি ও সয়াবিন তেল ৮০ টাকা লিটারে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, প্রতিটি মুদি দোকান থেকে শুরু করে সুপারশপের প্রতিটি দোকানেই ক্রেতাদের ভিড় রয়েছে। এখনও অব্যাহত রয়েছে বাড়তি কেনাকাটা। বাজার ঘুরে জানা গেছে, বর্তমানে মিনিকেট চাল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। নাজিরশাইল চালও একই দামে বিক্রি হচ্ছে। আর আটাশ ও স্বর্ণা চালের দাম ৪৫ টাকা।

মহাখালীর বউবাজারের এক দোকানি আলম বলেন, অন্য সময়ের চেয়ে বস্তায় চালের দাম বেড়েছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। এখন আমাদের বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে।’ কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত চালের দাম বেড়েছে বলে জানান এই বিক্রেতা।

কারওয়ানবাজার কিচেন মার্কেটের মায়ের দোয়া স্টোরের কর্মচারী বাবলু বলেন, কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা করে বেড়েছ চালের দাম। মিনিকেট এখন ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজ ৬০ টাকা, রসুন ১২০ থেকে ১৬০ টাকা, আলু ২৫ টাকা ও মসুর ডাল ১১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর ডিমের হালি এখন ৪০ টাকা।