তুরস্ক থেকে পাকিস্তানের টি১২৯ অ্যাটাক হেলিকপ্টার কেনা প্রক্রিয়াধিন

টি১২৯ অ্যাটাক হেলিকপ্টার কেনা প্রক্রিয়াধিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কের হুরিয়াত পত্রিকাকে গত সোমবার (২ ডিসেম্বর) দেয়া এক সাক্ষাতকারে তুরস্কের ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিজ প্রেসিডেন্সির (এসএসবি) প্রধান ড. ইসমাইল দেমির জানান যে পাকিস্তানের কাছে তুরস্কের ৩০টি টি১২৯ অ্যাটাক হেলিকপ্টার বিক্রির বিষয়টি এখনো প্রক্রিয়াধিন রয়েছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র থেকে এগুলোর ইঞ্জিন সংগ্রহে অনিশ্চয়তা এখনো কাটেনি।

এক প্রশ্নের জবাবে দেমির বলেন, সিটিএস-৮০০ টার্বোশ্যাফট ইঞ্জিন পুন:রফতানির লাইসেন্স প্রাপ্তির প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ইচ্ছাকৃতভাবে এই বিলম্ব করছে কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছে না। ফলাফলের জন্য আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে।

তবে দেমির জানান, যুক্তরাষ্ট্র যদি শেষ পর্যন্ত সিটিএস৮০০ ইঞ্জিন বিক্রি আটকে দেয় তাহলে তুরস্ক নিজস্ব টার্বোশ্যাফট ইঞ্জিন, টিএস১৪০০, তৈরি ও তা এটিএকে হেলিকপ্টারে সংযোজন করবে। ২০১৭ সাল থেকেই তুসাস ইঞ্জিন ইন্ডাস্ট্রিজ (টিইআই) টিএস১৪০০ ইঞ্জিন তৈরির কাজ করছে। ২০২৫ সালের মধ্যে এই প্রকল্প শেষ করার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে।

তাছাড়া, জরুরি বিকল্প হিসেবে ফ্রান্সের স্যাফরন গ্রুপের সঙ্গেও তুরস্ক কথা বলছে বলে জানা গেছে। তাদের আইটিএএআর-ফ্রি ইঞ্জিন, যেমন এরানো-১এ, টি১২৯ হেলিকপ্টারে ব্যবহার করা হতে পারে।

২০২০ সালের শেষ দিকে পাকিস্তানকে প্রথম এটিএকে হেলিকপ্টার সরবরাহের কথা তুরস্কের।

এসএসবি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পাকিস্তানকে টি১২৯ হেলিকপ্টার সরবরাহ করতে আগ্রহী হলেও যুক্তরাষ্ট্র যদি সিটিএস৮০০ বিক্রি আটকে দেয় তাহলে এই সরবরাহে বিলম্ব ঘটতে পারে। সেক্ষেত্রে পাকিস্তান আরো দেরিতে এটিএকে হেলিকপ্টার হাতে পাবে।

তুরস্ক থেকে ৩০টি টি১২৯ এটিএকে হেলিকপ্টার কেনার জন্য ২০১৮ সালের জুনে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা উৎপাদন মন্ত্রণালয় চুক্তি সই করে। ১.৫ বিলিয়ন ডলারের এই চুক্তিতে হেলিকপ্টারের পাশাপাশি লজিস্টিকস, প্রশিক্ষণ সহায়তা, গোলাবারুদ ও খুচরা যন্ত্রাংশও রয়েছে। পাঁচ বছরের মধ্যে এই কর্মসূচি শেষ হওয়ার কথা।