তারেকের ভিডিও কনফারেন্স প্রমাণসহ অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নিবে ইসি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের ভিডিও কনফারেন্সের বিষয়ে কেউ প্রমাণসহ অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আপনারা বলেছেন, আমরা শুনেছি।

আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত এই ধরনের কোনো কিছুকে মনিটরিং করার নিজস্ব ক্যাপাসিটি নেই। যদি কেউ তথ্য প্রমাণসহ আমাদের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন, তাহলে আমরা আইনের মধ্যে থেকে যদি কিছু থাকে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বলবো। আর যদি আইনের ভেতর কিছু না থাকে, তাহলে আমরা নিজেরা কমিশন বসে আমরা কি করতে পারি সেটা পর্যালোচনা করে দেখে তারপরে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবো।
আজ রবিবার নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

আজ রবিবার সকাল ৯টার পর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার শুরু হয়। এ সময় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাদের সাক্ষাৎকার নেন লন্ডনে অবস্থানরত দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

রফিকুল ইসলাম বলেন, যদি কেউ তথ্য প্রমাণসহ আমাদের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন, তাহলে পরে আমরা আইনের মধ্যে থেকে যদি কিছু থাকে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বলব।

তারেক রহমান যদি দেশে থাকতেন তাহলে তিনি ভিডিও কনফারেন্স করতে পারতেন কি-না? এ প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, যদি কোনো দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হন তাহলে অবশ্যই তার জেলে বা পলাতক থাকার কথা। কেউ জেলে থাকলে এই ধরনের কাজ করার কথা না।

জেল থেকে যদি উনি জামিনে আসতেন, তাহলে করলে পরে কোনো অসুবিধা ছিল না। কিন্তু এক্ষেত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আইনের কাভারেজ কতটুকু কি আছে এগুলো দেখে আমরা একটি সিদ্ধান্ত নিতে পারব।
এ ছাড়াও বিএনপির জমা দেওয়া মামলার তালিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তালিকাটি আমি দেখিনি। আমরা দেখে সত্যিকারের অর্থে যদি কোনো হয়রানিমূলক মামলা হয়ে থাকে, তাহলে আমরা অবশ্যই পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশনা দেবো, যেন হয়রানিমূলক মামলা না করে। কেননা, হয়রানিমূলক মামলা করলে নির্বাচনের পরিবেশ কিছুটা হলেও বিনষ্ট হবে।

তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৮ নভেম্বর, বাছাই ২ ডিসেম্বর। আর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১০ ডিসেম্বর ।