ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেদার ইন্সটিটিউটের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত

গত ১৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজিতে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগের কারনে ৩ মাসের জন্য নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের জন্য রুল জারি করেছে মহামান্য হাইকোর্ট।

ইইন্সটিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজিতে গত ৩০.৪.২০১৯ তারিখে প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়, যেখানে বিজ্ঞপ্তির সকল শর্ত পূরন করেও ভাইবা কার্ড থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন বেশকিছু প্রার্থী।
অপরপক্ষে বিজ্ঞপ্তির শর্ত পূরন না করেও ভাইবা কার্ড পেয়েছিলেন অনেকে, যাদের মধ্যে- শায়লা আক্তার সাকী, যার মাস্টার্সে সিজিপিএ ৩.৪৮ ( বিজ্ঞপ্তিতে চাওয়া হয়েছিল ৩.৫০)। লেদার প্রোডাক্টসের প্রদীপ কুমার মন্ডল, যার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মাস্টার্স নেই, মাস্টার্স করেছেন মার্কেটিং এ। যারা প্রভাষক পদের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত শর্ত পূরন না করেও ভাইবা কার্ড পেয়েছিলেন।
সহকারী অধ্যাপক পদে লেদার প্রোডাক্টস এর মোঃ আলী মুজতবা, যার মাস্টার্স এবং শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা নেই কিন্তু তিনি কার্ড পেয়েছিলেন। লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং এ ডঃ মুঞ্জশ্রী চৌধুরী যিনি মাস্টার্স ছাড়া পিএইচডি করেছেন এবং ১ বছরের শিক্ষতার অভিজ্ঞতা নিয়ে ভাইবা কার্ড পেয়েছিলেন।

অপর প্রার্থী রাশেদ উল ইসলাম যার ১ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা, তিনিও কার্ড পেয়েছিলেন; যিনি প্রভাষক নিয়োগের সময় অযোগ্য প্রার্থী হিসেবে পত্রিকার রিপোর্ট হয়েছিলেন।

কিন্তু বিজ্ঞাপনের সকল শর্ত পূরন করেও অনেকেই কার্ড পাননি। তার মধ্যে গনিতে ড.মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, পদার্থ বিজ্ঞান এবং ফলিত রসায়ন সহ কয়েকটি বিষয়ের বেশ কয়েকজন প্রার্থী।

এদের মধ্যে ড.মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম তার সাথে অবিচার করা হয়েছে মর্মে হাইকোর্টে রিট করেন; রিট পিটিশন নাম্বার ১০২৮৪/১৯। গতকাল ২রা অক্টোবর ২০১৯ বিচারপতি শেখ মোঃ জাকির হোসেন এবং বিচারপতি সরদার মোঃ রাশেদ জাহাঙ্গীর এর বেঞ্চে (কোর্ট নাম্বার ২২) মহামান্য হাইকোর্ট আজ লেদারের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া ৩ মাসের জন্য স্থগিত করে এবং ড.মোহাম্মদ শহিদুল ইসলামকে কেন ভাইভা কার্ড দেওয়া হয়নি তার জন্য রুল জারি করেন।
উল্লেখ্য ঢাবি এ শিক্ষক নিয়োগের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ উপাচার্য প্রফেসর ড. নাসরিন আহমেদ, যিনি ২০১৮ সালে লেদার ইন্সটিটিউটে তার ভাতিজা সিজিপিএ ৩.৩৩ প্রাপ্ত এস এম তানভীর আহমেদ সহ অনেককেই নিয়োগ দিয়েছিলেন যাদের অনেকেই স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি শর্তই পূরন করতে পারেনি এবং তার আত্নীয় থাকা সত্বেও নিয়োগ বোর্ডের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।