ঢাকায় গৃহকর পুনর্মূল্যায়নে অনুমতি পেয়েছে সিটি করপোরেশন

পুনর্মূল্যায়নে অনুমতি পেয়েছে সিটি করপোরেশন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা মহানগরীতে গৃহকর পুনর্মূল্যায়নের জন্য ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অটোমেশনের মাধ্যমে অনলাইনভিত্তিক এই গৃহকর পুনর্মূল্যায়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্ন উত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সদস্য একেএম রহমতুল্লাহর এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, এ দুটি সিটি করপোরেশনে সম্প্রতি অন্তর্ভূক্ত এলাকাকেও গৃহকর মূল্যায়নের আওতায় আনা হয়েছে।

ওয়ার্কার্স পাটির সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বেগম লুৎফুন নেসা খানের প্রশ্নের লিখিত উত্তরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগরীতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সড়ক বাতির খুঁটি ব্যবহার করে অবৈধভাবে ইন্টারনেট ও স্যাটেলাইট ক্যাবলের সংযোগ প্রদান করা হয়। সেক্ষেত্রে উক্ত খুঁটিতে অবৈধ ইন্টারনেট ও স্যাটেলাইট ক্যাবল অপসারণের দায়িত্ব ডিপিডিসি এবং ডেসকোর। এছাড়া ঢাকা সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন বৈদ্যুতিক খুঁটি হতে নিয়মিত অবৈধ ক্যাবল অপসারণ করা হয়।

আওয়ামী লীগের সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের লিখিত উত্তরে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম জানান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক ২০০৩ সালে সমগ্র দেশের ২৭১ উপজেলায় প্রায় ৫০ লাখ নলকূপের আর্সেনিক পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ১৪ দশমিক ৫ লাখ অর্থাৎ শতকরা ২৯ ভাগ নলকূপের পানিতে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক পাওয়া গেছে। তিনি জানান, দেশের আর্সেনিক ঝুঁকিপূর্ণ ৩১টি জেলার ১১৭টি উপজেলার ১ হাজার ২৯০টি ইউনিয়নে প্রায় ২ লাখ আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানির উৎস স্থাপন করা হচ্ছে।