ট্রেন থামিয়ে ঝালমুড়ি কিনলো চালক!

নিজস্ব প্রতিবেদক: হাঁটতে হাঁটতে ঝালমুড়ি দেখে দাঁড়িয়ে যাওয়া বা সাইকেল-গাড়ি থামিয়ে ঝালমুড়ি কিনে খাওয়ার কাজটা আমরা প্রায়ই করে থাকি। তবে ট্রেন থামিয়ে ঝালমুড়ি কেনা একদম অভিনব সে কথা স্বীকার করতেই হবে।

চলন্ত ট্রেন থামিয়ে ঝালমুড়ি কেনার একটি ঘটনা ঘটে গেছে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লোকাল রুটে।

গত মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) রাতে এ ঘটনার খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। তবে এ ঘটনার সত্যতা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করতে পারেনি নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লোকাল রুটের নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী ট্রেন থামিয়ে চালক নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের অদূরে উকিলপাড়া এলাকার রেল লাইনের পাশে বসা এক বিক্রেতার কাছ থেকে ঝালমুড়ি কেনে ট্রেনচালক। এ ঘটনায় নগরজুড়ে আলোচনা সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, হুট করে ট্রেন থামানোর কারণে রেল লাইনে দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ রেল স্টেশনের সদ্য অবসরে যাওয়া প্রবীণ স্টেশন মাস্টার গোলাম মোস্তফা জানান, রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি ট্রেন ৪০ মিনিটের মধ্যে ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ পৌঁছানোর কথা। সেখানে কখনো কখনো ৫০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে।

তিনি বলেন, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেলরুট দেশের প্রাচীন রেললাইনগুলোর মধ্যে অন্যতম। বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়ের ১৫টি ট্রেন দিনে ৩০ বার এই রুটে ৩০ হাজারের বেশী যাত্রী পরিবহন করছে। দীর্ঘদিনের পুরনো হয়ে যাওয়ায় রেললাইন ও ট্রেনের ইঞ্জিনে প্রায় সময় ত্রুটি দেখা দেয়। যে কারণে বিভিন্ন সময়ে মেরামতের কাজ করতে হয়।

তবে ঝালমুড়ি খাওয়ার উদ্দেশ্যে চালক ট্রেন থামিয়েছেন এই বিষয়টি মানতে নারাজ সদ্য অবসরে যাওয়া এই অভিজ্ঞ রেলওয়ে মাস্টার। গোলাম মোস্তফা বলেন, ট্রেন চালক ঝালমুড়ি খাওয়ার উদ্দেশ্যে চলন্ত ট্রেন থামিয়ে দিয়েছেন এটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কোনও স্টেশন থেকে ট্রেন ছেড়ে গেলে বা মাঝপথে থামাতে হলে সিগন্যালের প্রয়োজন হয়। হয়তো রেললাইনের কোথাও হঠাৎ করে ত্রুটি দেখা দিয়েছিল এবং যার কারণে মেরামতের প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে সিগনাল দেয়ায় চালক ট্রেনটি থামিয়ে দিয়েছেন। এ অবস্থায় আশপাশে ঝালমুড়ি বিক্রি করতে দেখে তার খেতে ইচ্ছে করলে তখন কিনতে যান।’ বিষয়টি এমনই হতে পারে বলে তিনি মনে করছেন।