টিকিট ছাড়া কাউকে স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক: ট্রেনের টিকিট ছাড়া কাউকে স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন কমলাপুরের রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার। তিনি বলেন, ঈদে যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যেসব যাত্রী অনলাইনে টিকিট কেটেছেন তাদেরকে টিকিট দেখে স্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। টিকিট ছাড়া কাউকে স্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

রোববার (২৫ জুন) সকালে কমলাপুরে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অনলাইনে শতভাগ টিকিট বিক্রি হয়েছে আগেই। আর ২৫ ভাগ স্ট্যান্ডিং টিকিট কাউন্টার থেকে কাটতে পারছেন যাত্রীরা। যেসব যাত্রী টিকিট কাটতে পারছেন তাদেরকেই স্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, সকাল থেকে ১৮টি ট্রেন ছেড়ে গেছে। সব ট্রেনেই শতভাগ টিকিট বিক্রি হয়েছে। যথা সময়ে প্রায় সবগুলো ট্রেন ছেড়ে গেছে। আন্তঃনগর ৩৮ জোড়া, মেইল ৬ জোড়া ও কমিউটার ৮ জোড়া ট্রেন ঢাকা থেকে ছেড়ে যাবে। এ ছাড়া ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে ২ জোড়া ট্রেন চলাচল করছে। অর্থাৎ মোট ৫৪ জোড়া ট্রেন আজ চলাচল করছে। আগামীকাল ঢাকা স্টেশন থেকে ঢাকা দেওয়ানগঞ্জ আরও একটি ঈদের স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে।

ঈদের স্পেশাল ট্রেনের বিষয়ে তিনি বলেন, শনিবার থেকে দুটি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করছে। ঢাকা-লালমনিরহাট ও ঢাকা-পঞ্চগড় স্পেশাল ট্রেন দুটি ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে চলাচল করছে।

তিনি বলেন, ট্রেনে ঢাকা থেকে প্রতিদিন প্রায় ১ লাখ যাত্রী ঈদে বাড়ি যেতে পারবে। ঢাকা স্টেশন ও বিমানবন্দর স্টেশন থেকে এসব যাত্রী যারা টিকিট কেটেছেন তারা ট্রেনে যাতায়াত করতে পারবেন।

কয়েকটি ট্রেনের বিলম্ব হওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় বলতে যেটা বুঝায় এমনটি কিন্তু হয়নি। আধা ঘণ্টা কিংবা এক ঘণ্টা বিলম্ব হওয়াকে সিডিউল বিপর্যয় বলা যাবে না। ট্রেনগুলোর আসা যাওয়ার জন্য দুই, একটি ট্রেনের আধাঘণ্টা বা এক ঘণ্টা দেরি হতে পারে।