টার্কি মুরগী ফার্ম :কমবে বেকারত্ব

মেহেরপুরের গাংনীতে ব্রিটিশ জাতের টার্কি মুরগির খামার করে ভাগ্য ফিরিয়েছেন উপজেলার রাবেয়া বুশরা। প্রতিদিন তার খামারে টার্কি মুরগির বাচ্চা কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন এলাকার টার্কি খামারিরা। বাচ্চা ও মুরগি বিক্রি করে মাসে তার আয় হচ্ছে প্রায় ১ লাখ টাকা।

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম বানিয়াপুকুর। এই গ্রামে গৃহবধু রাবেয়া বুশরা স্বামীর অণুপ্রেরণয় গড়ে তুলেছেন ব্রিটিশ জাতের টার্কি মুরগির খামার। সিলেট থেকে বাচ্চা সংগ্রহ করে তৈরি করা খামার বদলে দিয়েছে তার জীবন। এক বছরে খামারের আয় দিয়ে বাড়ি ও খামার পাঁকা করার পাশাপাশি কিনেছেন বাচ্চা তৈরির ইনক্রুবেটর মেশিন। এখন ডিম থেকে ২৫ দিনে ফোটা প্রতিটি বাচ্চা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়। খামারের এ বিশেষ জাতের মুরগির ওজন ৬ থেকে ৭ মাসে হয় ২২ থেকে ২৪ কেজি। রাবেয়া বুশরা বলেন, ‘যারা লেখাপড়া শিখে কোন কাজ পাচ্ছেন না, বসে আছেন। তাহলে পরিত্যক্ত জায়গায় টার্কির ফার্ম করে স্বাবলম্বী হতে পারে।’
বাচ্চা বিক্রির পাশাপাশি ৪ থেকে সাড়ে ৪শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে মুরগির মাংস। গত ৩ মাসে শুধু বাচ্চা বিক্রি করে তিনি আয় করেছেন ৫ লাখ টাকা।তার এ সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে আশপাশের অনেকেই টার্কি মুরগির খামার গড়ে তুলতে উদ্যোগী হচ্ছেন। রাবেয়ার খামার থেকে তারা বাচ্চা কিনছেন।

রাবেয়া বুশরার বিশেষ প্রজাতির টার্কি খামারে মুরগি পালন বাড়ায় এ জাতের খামার তৈরিতে অন্যান্য খামারিদের পরামর্শ দিচ্ছে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এলাকার বেকার যুবক এবং অন্যান্য খামারিদের আমরা টার্কি পালনের পরামর্শ দিচ্ছি। সঙ্গে কারিগরি সহায়তাও দিচ্ছি। যাতে তারা লাভবান হতে পারে।’

দেশের বিভিন্ন স্থানের টার্কি খামারিদের কাছে বেড়েছে এই মুরগির চাহিদা।