জটিল হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের পরিস্থিতি

নিউজ ডেস্ক : অফ-ডকগামী কন্টেইনার জটের পাশাপাশি কন্টেইনারবাহী জাহাজের চাপ বাড়তে থাকায় চট্টগ্রাম বন্দরের পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল আকার ধারণ করছে। প্রতিদিন ৪ হাজারের বেশি কন্টেইনার ডেলিভারি দিয়েও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না বন্দর কর্তৃপক্ষ। সে সাথে সময় মতো জাহাজ বার্থিং না পাওয়ায় কাঁচামাল সংকটে পড়ছেন শিল্প মালিকেরা।
গত দু’দিন ধরে গড়ে ৪ হাজারের বেশি কন্টেইনার ডেলিভারি হচ্ছে বন্দর থেকে। কিন্তু তার বিপরীতে আমদানিকৃত পণ্য নিয়ে জাহাজ থেকে কন্টেইনার নামছে ৫ হাজারের বেশি। ফলে বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে কন্টেইনারের স্তূপ জমার হার অব্যাহত রয়েছে। তার সাথে যুক্ত হচ্ছে অফ-ডকগামী কন্টেইনার নেয়ার ধীর গতি।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, কিছুদিন কন্টেইনারের ডেলিভারি গতি কম ছিল। এটা এডজাস্ট করতে আরেকটু সময় লাগবে।

এদিকে প্রতিদিন ১৫ হাজারের বেশি কন্টেইনার নিয়ে ১০ থেকে ১২টি জাহাজ বন্দরের প্রধান জেটিতে বার্থিং নিচ্ছে। কিন্তু তার চেয়েও কয়েকগুণ বেশি জাহাজকে দিনের পর দিন বন্দরে ঢোকার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে বহির্নোঙ্গরে। এ অবস্থায় ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে জাহাজ মালিকদের।

শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন বলেন, জাহাজ বাইরে দাড়িয়ে থাকা মানে মালিকপক্ষের ক্ষতির সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

৮ দিনের ঈদের বন্ধ কাটিয়ে দেশের শিল্প কারখানাগুলো খুলতে শুরু করেছে। কিন্তু বন্দরের জটিলতার কারণে কাঁচামাল সংকটে পড়তে যাচ্ছে শিল্প মালিকেরা।

বিজিএমইএর পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ বলেন, কম সময়ে মালামাল ডেলিভারি নিতে পারছি না, যার ফলে পুরো ব্যবসাতেই সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রমের সাথে বন্দর ছাড়াও কাস্টম, শিপিং, সিএন্ডএফ এবং পরিবহনের মতো অন্তত ১৫টি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে। এর একটিতে জটিলতা হলে পুরো কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে আসে।

বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র বলা হয় চট্টগ্রাম বন্দরকে। দেশের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যের ৯২ শতাংশ সম্পন্ন হয় এ বন্দর দিয়ে। এ বন্দরে কোন জটিলতার সৃষ্টি হলে তার প্রভাব পড়ে দেশের অর্থনীতিতে। বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখার জন্য এ বন্দরকে পুরোদমে চালু রাখতে হবে।