চুল পাকা রোধে আমলকি

আমলকি আমাদের দেশে খুবই পরিচিত একটি ফল। এর দামও খুব একটা বেশি নয়। তথাপি এই সহজলভ্য ফলটির রয়েছে বহুবিধ উপকারিতা। খাদ্য হিসেবে এটি যেমন বেশ উপকারি তেমনি রূপচর্চায়ও খুবই কার্যকরী। বিশেষ করে চুলের সৌন্দর্য্য রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করে আমলকি। এ ছাড়া এটি আমাদের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে দারুণ সাহায্য করে। তাহলে আর দেরি কেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক আমলকির বহুবিধ উপকারিতার কথা-

১. স্কার্ভি দূর করে- সাধারণত ভিটামিন সি এর অভাবে স্কার্ভি নামক রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাধে। এর ফলে দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ে, মাড়িতে ঘা হয়, শরীর দুর্বল হয়ে যায়, চামড়ার নিচে রক্তক্ষরণ হয়, চেহারা ফ্যাকাসে হয়ে যায় এবং হাড়ের মধ্যে পরিবর্তন দেখা দেয়। অথচ প্রতিদিন মাত্র ১-২টি আমলকি খেলে এসব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি।

২. আলসার দূর করে- নিয়মিত আমলকি খেলে পেটের আলসার দূর হয়।

৩. কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলস দূর করে- আমলকির রস কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং পাইলস রোগ থেকে মুক্তি দেয়।

৩.ক্ষুধামন্দা দূর হয়- প্রতিবার খাওয়ার আগে মাখন ও মধুর সঙ্গে আমলকির গুঁড়া মিশিয়ে খেলে ক্ষুধামন্দা দূর হয়।

৪. দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে- দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে আমলকি। এছাড়া চোখ লাল হওয়া, চুলকানো ও চোখ দিয়ে পানি পড়া রোধেও এটি বিশেষ ভূমিকা রাখে।

৫.কাশি-সর্দি নিরাময় করে- দীর্ঘমেয়াদী কাশি-সর্দির জন্য আমলকির নির্যাস উপকারী।

৬. মেদ দূর করে- শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে দৈহিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। এমনকি এটি খেলে হজম শক্তি বেড়ে যায়। ফলে মানুষ মুটিয়ে যায় না।

৭. চুলের যত্নে আমলকি- আমলকি চুলের টনিক হিসেবে কাজ করে। চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য এটি একটি অপরিহার্য উপাদান। আমলকি খেলে শুধু চুলের গোড়াই শক্ত হয় না, চুল দ্রুত বেড়ে ওঠে।

৮. খুশকি দূর করে- চুলকে খুশকিমুক্ত ও কম বয়সে চুল পাকা রোধে আমলকি বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

৯.চর্মরোগ নিরাময় হয়- প্রতিদিন সকালে মধুর সঙ্গে আমলকির রস মিশিয়ে খেলে চর্মরোগ নিরাময় হয়। তাছাড়া এটি খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং মুখের চামড়ায় কোনো দাগ পড়ে না।