চীন ও পাকিস্তানের সি গার্ডিয়ান্স-২০২০ মহড়া শুরু

সি গার্ডিয়ান্স-২০২০ মহড়া শুরু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উপসাগরীয় দেশগুলো এবং ভারত ও চীনের মতো এশিয়ান জায়ন্টগুলোর মধ্যে সংযোগস্থল হিসেবে বিরাজ করছে আরব সাগর। এখানে পাকিস্তানের সাথে একটি যৌথ মহড়া এই অঞ্চলে চীনকে বিপুলভাবে সামনে এনে দেবে। এখানে ভারতের চির-প্রতিদ্বন্দ্বী সাবমেরিন আর রণতরী মোতায়েন করেছে।

উত্তর আরব সাগরে সোমবার চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে ষষ্ট নৌমহড়া শুরু হয়েছে। এর কোড নেইম দেয়া হয়েছে সি গর্ডিয়ান্স-২০২০। এর লক্ষ্য দুই দেশের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়ানো।

চীনের প্রতিনিধিত্ব করছে ৫টি বড় রণতরী। এর মধ্যে রয়েছে গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রোয়ার ইয়ানচুয়ান, গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেট ইয়ানচেং, ব্যাপকভিত্তিক সরররাহ জাহাজ ওয়েশানহু, সাবমেরিন উদ্ধার জাহাজ লিগুনদাও।

পাকিস্তান নৌবাহিনী মোতায়েন করেছে জুলফিকার ক্লাস এফ২২পি/এফ২১ ফ্রিগেট, দুটি ফাস্ট অ্যাটাক ক্র্যাফট, একটি সাবমেরিনবিধ্বংসী টহল বিমান, দুটি জাহাজবাহী হেলিকপ্টার ও ৬০ জনের বেশি বিশেষ অভিযানে সক্ষম সৈন্য।

যৌথ টহল, বিমান প্রতিরক্ষা, যৌথ সাবমেরিন, সমুদ্র থেকে তাজা গুলিবর্ষণ, যৌথ সামুদ্রিক পশিক্ষণসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি রয়েছে এই মহড়ায়।

পাকিস্তান নৌবাহিনী জানিয়েছে, দুই নৌবাহিনীর প্রযুক্তিগত ও কৌশলগত সক্ষমতা বৃদ্ধি, আঞ্চলিক নৌনিরাপত্তা বহাল রাখা, একে অপরের কাছ থেকে শেখার লক্ষ্যে এই মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে।

অবশ্য চীন বলে আসছে যে এই অঞ্চলের পরিস্থিতির সাথে এই মহড়ার কোনো সম্পর্ক নেই এবং তৃতীয় কোনো দেশকে টার্গেট করে তা হচ্ছে না।

পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে স্থলপথে আরব সাগড়ে যাওয়াটা বেইজিংয়ের অন্যতম লক্ষ্য। এতে করে ভারতের সাথে সঙ্ঘাত সৃষ্টি হলে চীনের পক্ষে স্থলপথে বিকল্প উপায়ে আরব সাগরে যেতে পারবে চীন। ভারত মহাসাগরের মালাক্কা প্রণালী রয়েছে ভারতের নাগালের মধ্যে।

বর্তমানে চীনের তেল আমদানির দুই-তৃতীয়াংশ হয়ে থাকে মালাক্কা প্রণালী থেকে। এটি আন্দামান ও নিকোবর আইল্যান্ডে স্থাপিত ভারতের তিন বাহিনীর কমান্ডের খুব কাছে অবস্থিত।