চায়ের দেশ এখন হয়ে উঠছে আনারসের দেশ

চায়ের দেশ এখন হয়ে উঠছে আনারসের দেশ

মৌলভীবাজার সংবাদদাতা: আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবারে মৌলভীবাজার পাহাড় টিলায় “জায়েন্ট কিউ” তিন মাসি আনারসের ভালো ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে বাজারে উঠতেও শুরু করেছে। আর ভালো দাম পাওয়ায় চাষিরাও খুশি। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, এ অঞ্চলে হানিকুইন জাতের আনারস বেশি উৎপাদন হলেও- তাদের সার্বিক সহযোগিতায় কয়েক বছর ধরে জায়েন্ট কিউর ফলনও ভালো হচ্ছে।

মৌলভীবাজারের পাহাড় টিলার মাটি আনারস চাষের উপযোগী। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও ভালো। জেলার কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, রাজনগর, জুড়ি ও বড়লেখা উপজেলার পাহাড় টিলায় জায়েন্টকিউ জাতের আনারস চাষ হয়।

চাষিরা বলছেন, জায়েন্টকিউ জাতের এ তিনমাসি আনারস মূলত- শ্রাবণ, ভাদ্র ও আশ্বিন মাস পর্যন্ত ফলন হয়ে থাকে। তবে বাজারে কার্তিক মাস পর্যন্ত পাওয়া যায়।

এদিকে উৎপাদন মৌসুম শেষ হলেও বাজারে এখনো হানিকুইন জাতের আনারসের সরবরাহ ভাল। রসালো এসব মৌসুমী ফলের ব্যাপক চাহিদা থাকায় শ্রীমঙ্গলের আড়ৎগুলো ক্রয়-বিক্রয়ে জমে উঠছে। আর ভালো দাম পাওয়ায় চাষিরাও খুশি।

এক আনারস চাষী বলেন, ত্রিশ হাজার টাকার তিনমাসি আনারস বিক্রি করে ফেলছি। আরও বিশ থেকে পঁয়ত্রিশ হাজার টাকার বিক্রি করার আশা আছে। তিন মানসি আনারসে কোন ফরমালিন থাকে না এবং কোন ওষুধ প্রয়োগ করা হয় না।

শ্রীমঙ্গল আড়ৎব্যবসায়ী সমিতির নেতা জানান, জেলার আনারস এক সময় বাইরে গেলেও এখন বৃহত্তর সিলেটের চাহিদাই মিটাচ্ছে।

শ্রীমঙ্গল আড়ৎ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. জসিম বলেন, আনারস এখন বাইরে যায় না। বৃহত্তর সিলেটের ভিতরেই আনারসের প্রচুর চাহিদা।

কৃষি বিভাগ বলছে, এ অঞ্চলে হানিকুইন জাতের উৎপাদন বেশি হলেও তিনমাসি জায়েন্টকিউ জাত আনারসের উৎপাদন ও বিক্রি বাড়ছে।

মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী লুৎফুল বারী বলেন, কয়েক বছর ধরে জায়েন্টকিউ জাতটি চাষ হয়ে আসছে প্রায় সাড়ে ৩শ হেক্টর জমিতে। আমরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে তাদেরকে কিভাবে সার দিতে হবে, পরিচর্যা করতে হবে এই সকল বিষয়গুলো প্রশিক্ষণ দিয়েছি।

জেলার ৩৫০ হেক্টর জমিতে ৫ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন জায়েন্টকিউ জাতের আনারস উৎপাদন হয়েছে।