চলতি অর্থবছর বিদেশগামী কর্মী ১৫.৫৯ শতাংশ বেড়েছে

নিউজ ডেস্ক: চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের ১৫ জুন পর্যন্ত ১০ লাখ ৭৪ হাজার ৫৫২ জন কর্মী বাংলাদেশ থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কাজের উদ্দেশ্যে গেছেন, যা গত অর্থবছরের তুলনায় ১৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেশি।

আজ সোমবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রী ইমরান আহমদ জাতীয় সংসদে এ তথ্য জানান।

সংসদের প্রশ্নোত্তরে ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, গত ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময় পর্যন্ত ৯ লাখ ৭ হাজার ৭ জন বিদেশে গিয়েছিলেন।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হাবিবর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রবাসীকল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘জনশক্তি রপ্তানির উদ্দেশ্যে নতুন নতুন দেশের সঙ্গে চুক্তি সইয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমানে লিবিয়া, মাল্টা, আলবেনিয়া, রোমানিয়া ও সার্বিয়ার সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত ১৩ জুন পর্যন্ত ১ লাখ ১৪ হাজার ৫২১ বিদেশগামীকে ২ হাজার ৮১ কোটি ৩৬ লাখ টাকার অভিবাসন ঋণ হিসেবে বিতরণ করা হয়েছে।

ঢাকা-১১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘বর্তমানে দেশে চায়ের চাহিদা প্রায় ১০০ মিলিয়ন কেজি।’

ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, বিশ্বের ২১টি দেশের ২৩টি শহরে বাংলাদেশের বাণিজ্য মিশন রয়েছে। সেগুলো হলো—ক্যানবেরা, ব্রাসেলস, বেইজিং, কুনমিং, প্যারিস, বার্লিন, নয়াদিল্লি, কলকাতা, তেহরান, টোকিও, ইয়াংগুন, কুয়ালালামপুর, মস্কো, সিউল, সিঙ্গাপুর, মাদ্রিদ, জেনেভা, দুবাই, লন্ডন, ওয়াশিংটন ডিসি ও লস অ্যাঞ্জেলস।

‘নিকট ভবিষ্যতে ব্রাজিলের ব্রাসিলিয়ায়, তুরস্কের আঙ্কারাতে, মেক্সিকোর মেক্সিকো সিটি ও আফ্রিকা মহাদেশে বাণিজ্যিক উইং স্থাপনের কার্যক্রম চলমান আছে। এ ছাড়া ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডে মিশন স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে’, বলেন তিনি।

নোয়াখালীর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, ‘গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা) ও গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় দেশের অধিক বজ্রপাতপ্রবণ ১৫টি জেলায় ৩৩৫টি বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপন করা হয়েছে।’