চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ কর্মী হত্যায় ৬ জনের যাবজ্জীবন

চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ কর্মী হত্যায় ৬ জনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানা এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মী নূরুল আলম রাজু হত্যা মামলায় ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রফিক, খোরশেদ, আইয়ুব, ইমন, দিপু ও জহির। রায় ঘোষণার সময় ইমন ও দিপু আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি চার আসামি পলাতক।

অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় রায়ে ১৫ আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- নুরুল বশর বিপলু, আকবর, তারেক, ফয়েজুল্লাহ, আলাউদ্দিন, পিন্টু, রবিন, হায়দার, জাবেদ, জিদান, হাসান, জিয়াউদ্দিন, সাজ্জাদ, ইলিয়াস ও কাকন।

মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ কে এম মোজাম্মেল হক এ রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আইয়ূব খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, রাজু হত্যা মামলায় মোট ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছিল পুলিশ। এরমধ্যে বয়স বিবেচনায় রায়হান নামের এক আসামির শিশু আদালতে বিচার হচ্ছে। বাকি ২১ আসামির বিচারকাজ হয়েছে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। বিচারিক প্রক্রিয়ায় ১৫ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন। ২১ আসামির মধ্যে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত দুজনসহ আজ মোট ১২ জন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালত সার্বিক বিষয় আমলে নিয়ে পলাতক চারজনসহ মোট ছয়জনকে যাবজ্জীবন এবং ১৫ আসামিকে খালাস দিয়েছেন।

১৫ আসামির খালাস বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী বলেন, আসামিদের মধ্যে ছয়জনের বিরুদ্ধে নিহতের ভাই থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন। এছাড়া দুই আসামির জবানবন্দিতে উঠে আসা ব্যক্তিদের চিনতেন মামলার বাদী।

আদালত রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে উঠে আসা ব্যক্তিদের চেনা সত্ত্বেও মামলার এজাহারে তাদের নাম দেননি বাদী। তারা যদি ঘটনাস্থলে থাকতেন, তাহলে বাদী তাদের দেখতেন এবং মামলায় নাম দিতেন। মূলত আসামিদের দেওয়া জবানবন্দি আদালতের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি। তাই ১৫ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২২ নভেম্বর গভীর রাতে পাঁচলাইশ থানার হামজারবাগ এলাকার নিজ বাসা থেকে ছাত্রলীগ কর্মী নূরুল আলম রাজুকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই কুতুবুল আলম বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় ছয়জনের নামোল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে দুই আসামির আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি ও সার্বিক তদন্ত শেষে মোট ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।