গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট

রোববার রাজধানীর যেসব এলাকায় গ্যাস থাকবে না

হাইকোর্ট প্রতিবেদক: বিধি বহির্ভূতভাবে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

বুধবার (১৩ মার্চ) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে ক্যাবের পক্ষে রিটটি দায়ের করেন বারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন- বিইআরসি’র সূত্র জানায়, সব শ্রেণির গ্যাসের দাম গড়ে ৬৬ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বিতরণ কোম্পানিগুলো। গৃহস্থালীতে ব্যবহৃত দুই বার্নার চুলার গ্যাসের বর্তমান দাম ৮৫০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা নির্ধারণ করতে চায় তারা। সিএনজি’র দাম বাড়ানোর হার সবচেয়ে বেশি হতে পারে।

এরইমধ্যে গ্যাসের দাম পুনর্নির্ধারণের লক্ষ্যে গণশুনানি শুরু হয়েছে। গ্যাসের দাম বাড়াতে পেট্রোবাংলা, জিটিসিএল এবং বিতরণকারী কোম্পানিগুলোর আবেদনের কারণে এই গণশুনানি আয়োজন করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের ওপরে সর্বশেষ গত বছরের মে মাসে শুনানি গ্রহণ করেছিল বিইআরসি। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে বর্ধিত মূল্যহার অনুযায়ী গ্যাসের দাম পরিশোধ করতে হবে বলে জানিয়েছিলেন সংশ্লিষ্টরা। তবে নির্বাচনের বছরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় তখন বর্ধিত মূল্যহার ঘোষণা স্থগিত রেখেছিল বিইআরসি।

বিইআরসি সূত্র জানায়, নতুন প্রস্তাবে বাসা-বাড়িতে দুই বার্নার চুলার গ্যাসের দাম ৮৫০ থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ২০০ টাকা এবং এক বার্নারের দাম ৭৫০ থেকে বাড়িয়ে এক হাজার টাকার কথা বলা হয়েছে। কোম্পানিগুলোর আবেদন গৃহীত হলে আবাসিক ছাড়াও দাম বাড়বে বিদ্যুকেন্দ্র, ক্যাপটিভ পাওয়ার, সিএনজি, শিল্প ও সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের।

সর্বশেষ ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে গ্যাসের দাম গড়ে ২২ দশমিক ৭০ শতাংশ বাড়ানো হয়। ওই বছরের মার্চ ও জুলাই থেকে দুই ধাপে তা কার্যকর করার কথা ছিল। আদালতের রায়ের কারণে প্রথম ধাপের দামবৃদ্ধি কার্যকর হলেও দ্বিতীয় ধাপ কার্যকর হয়নি।