‘খুনি মোদি’র আগমনের বিরোধী জনগণ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছে, নরেদ্র মোদির হাতে বারবার মুসলমানদের রক্তের দাগ লেগেছে। তার প্রশ্রয়ে দিল্লিতে হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িক উন্মাদনায় মুসলমানদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত গণহত্যা চালানো হচ্ছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, বাংলাদেশের জনগণ খুনি নরেদ্র মোদির আগমনের বিরোধিতা করছে।

বুধবার বিকেল ৪টায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে ভারতে মুসলিম নির্যাতন, গণহত্যা, পবিত্র মসজিদে অগ্নিসংযোগ এবং নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলের আগে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে মোদির আমন্ত্রণ প্রত্যাহারে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে পীর সাহেব চরমোনাই আরও বলেন, এমন একজন বিতর্কিত ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ জানানো স্বাধীনতার চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করে গোটা জাতিকে অপমান করা হবে। বাংলাদেশের মানুষ সরকারের এমন সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না।

রোজউল করিম আরো বলেন, ভারতে রাষ্ট্রীয়ভাবে মুসলমানদের নির্মূল করার অপচেষ্টা চলছে। সিএএ, এনআরসি এসবের মূল উদ্দেশ্য ভারতকে মুসলিম শূন্য করা। ধর্মনিরপেক্ষতার দাবিদার ভারত একুশ শতকের দ্বিতীয় দশকে যেভাবে গণহত্যা চালিয়ে মুসলমানদের নির্মূল করতে চায়, তা আমাদেরকে হালাকু খান, চেঙ্গিস খান ও হিটলারের নৃশংসতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। বিজেপি ভারতকে দ্বিতীয় স্পেন বানাতে চায়। তাদের মনে রাখা উচিত, ইংরেজদের দুইশ বছরের সর্বগ্রাসী নির্যাতন সত্ত্বেও ভারত থেকে মুসলমানদের নির্মূল করা যায়নি। বরং তারাই বিতাড়িত হয়েছে।

ইসলামী আন্দোলনের আমীর বলেন, ইসলাম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ধর্ম। দিল্লির মুসলমানরা এই উন্মত্ততার মাঝেও হিন্দুদের মন্দির পাহারা দিয়েছে। এর চেয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির আর কী হতে পারে?

রেজাউল করিম ভারতের মুসলিম নির্যাতন ও গণহত্যার বন্ধে জাতিসংঘ, ওআইসি ও মুসলিম বিশ্বসহ আন্তর্জাতিক মহলকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি অধ্যক্ষ শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী।

তিনি বলেন, দিল্লির দাঙ্গার সময় ১৩ হাজারের অধিক ফোনকল গেলেও পুলিশ নীরব দর্শক ছিল। এতে দিল্লি পুলিশের অপদার্থতার নজির বিশ্ব দেখছে।

আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে সৈয়দ মোসাদ্দেক বলেন, তারা জনগণকে নয়, ভারতকে সস্তুষ্ট করতে ব্যস্ত। ভারতের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক বন্ধুত্ব ও সমতামূলক নয়, বরং অধীনতা ও দাসত্বমূলক।

সীমান্ত হত্যা নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, বিএসএফে নির্বিচার হত্যাকাণ্ডের কারণেই ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সীমান্ত। বিএসএফই আমাদেরকে ফেলানীর লাশ উপহার দিয়েছে।