খাজনার, প্রভাব পড়ে গোস্তের দামের উপর

নিউজ ডেস্ক: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মালিকানাধীন গাবতলী পশুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এ হাটের ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। ক্রেতারা বলছেন, ইজারাদার অতিরিক্ত খাজনা আদায় করায় পশুর দাম বেশি পড়ে। একারণে গোস্তের দামও বেড়ে যায়।

ডিএনসিসির এই হাটের ইজারার শর্তে বলা আছে, সাধারণ ক্রেতাদের জন্য প্রতিটি পশুর মূল্যের ওপর সাড়ে তিন শতাংশ এবং ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঈদের দিনসহ আগের চার দিনের জন্য পাঁচ শতাংশ খাজনা (হাসিল) আদায় করতে হবে। তবে বছরের যেকোনও সময়ে মাংস ব্যবসায়ীদের জন্য ছাগল ও ভেড়া প্রতি ৩৫ টাকা, গরু প্রতি ১০০ টাকা ও মহিষ প্রতি ১৫০ টাকা খাজনা আদায় করতে হবে।

গোস্ত ব্যবসায়ীদের অভিযোগ— হাটের ইজারাদাররা এই শর্ত মানছেন না। তারা নিজেদের ইচ্ছা মতো পশুর খাজনা আদায় করে থাকেন। দেখা গেছে, এক্ষেত্রে গোস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য যে শর্ত রয়েছে, সেটা না মেনে বরং সাধারণ ক্রেতাদের জন্য যে হারে খাজনা আদায় করা হয়, গোস্ত ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও সেই অনুপাতে খাজনা আদায় করেন ইজারাদাররা। ফলে একলাখ টাকা দামের একটি গরুতে যেখানে গোস্ত ব্যবসায়ীদেরকে ১০০ টাকা খাজনা দেওয়ার কথা, সেখানে আদায় করা হচ্ছে সাড়ে তিন হাজার টাকা। আর তিন লাখ টাকার গরুতে খাজনার পরিমাণ দাঁড়ায় ১০ হাজার ৫০০ টাকা।