বকেয়া বিদ্যুৎ বিল ৫,৩৮১ কোটি টাকা : সংসদে প্রতিমন্ত্রী

bipuঢাকা: বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, গত ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখ পর্যন্ত দেশে বর্তমানে বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ ৫,৩৮১ কোটি টাকা।
বুধবার জাতীয় সংসদে ঢাকা-১ আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায়ের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

নসরুল হামিদ বিল আদায়ের নানা প্রদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে বলেন, কম্পিউটারে নির্ভূলভাবে বিল প্রণয়ন, বিদ্যুৎ বিল যথাসময়ে গ্রাহকদের নিকট প্রেরণ এবং বিল খেলাপিদের তালিকা করে তা আদায়ে নানা প্রদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিল আদায়ে বিশেষ টিম করে ঝটিকা অভিযান চালানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

নসরুল হামিদ জানান, বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক প্রতিমাসে সমন্বয়সভা করে বিল আদায়ে তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। পৌরসভা, ওয়াসা, সিটি করপোরেশন, জুটমিলের মতো বড় বড় গ্রাহকদের বকেয়া বিলের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আদায়ের প্রদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
গ্যাস উৎপাদন: এম এ আউয়ালের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে কমবেশি দৈনিক ২৭৪০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে। এ সরকার ২০০৯ সালে জানুয়ারি মাসে দায়িত্ব গ্রহণের সময় গ্যাসের গড় দৈনিক উৎপাদন ছিল ১৭৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট। কিন্তু বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে দৈনিক ২৭৪০ মিলিয়ন ঘনফুটে দাড়িয়েছে।

তিনি আরো জানান, বিগত সাত বছরে গ্যাসের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেলেও চাহিদা অধিক হারে বাড়তে থাকায় সরবরাহের তুলনায় ঘাটতি এখনো প্রায় দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট।
‘তবে ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে,’ জানান প্রতিমন্ত্রী।
দেশে গ্যামের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ৫৩টি অনুসন্ধান কূপ খনন, ৩৫টি উন্নয়ন কূপ খনন এবং ২০টি কূপের ওয়ার্কওভার করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ সকল কূপ হতে আনুমানিক দৈনিক ৯৪৩ থেকে ১১০৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।