কৃষিপণ্য পরিবহনে সরাসারি রেল চালু করতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক:  ‘কৃষিপণ্যের মূল্য কৃষককে নির্ধারণ করতে দিতে হবে। কৃষিপণ্য পরিবহনে রেলের মালগাড়ি বগি ব্যবহারও ফ্রিজিং কম্পার্টমেন্ট চালু করা; উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে কৃষিপণ্য পরিবহনে সরাসরি রেল সার্ভিস চালু করতে হবে।’
গতকাল রোববার (২৮ জুন) বেসরকারি কয়েকটি সংস্থার এক আলোচনায় এসব দাবি তুলে ধরা হয়।

‘উৎপাদক পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করলেও কৃষিপণ্যের মূল্য কৃষক নির্ধারণ করে না। ফলে কৃষক পণ্যের ন্যায্যমূল্যের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। দেশকে বাঁচাতে কৃষি ও কৃষক বাঁচাতে হবে। তাদের বাঁচাতে চাইলে কৃষিপণ্যের মূল্য নির্ধারণ তাদেরকেই করতে দিতে হবে।’

এমন দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক ও অর্থনীতিবিদ ড. এম এম আকাশ।

ড. এম এম আকাশ বলেন, ‘ধান কেনার ক্ষেত্রে সরকার যে দাম নির্ধারণ করেছে। তা কম হলেও ভালো। কিন্তু সরকার ধান খুব কম কিনছে। চাল কিনছে রাইস মিল থেকে। এতে কৃষককে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে রাইস মিলে। ফলে দাম পাচ্ছে না, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।’

তিনি বলেন, ‘ধান উৎপাদকরাই হবেন চালকলের মালিক। সমবায় সমিতির মধ্য দিয়ে চালকল স্থাপন করতে হবে। এতে করে চালকলেই তারা ধান দিতে পারবে, তার দামও তারা পাবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘কৃষিখাতে বৈচিত্র্য দরকার। বেশি দাম যেসব ফসলের, সেসব উৎপাদনের দিকে নজর দিতে হবে কৃষকের। তা নাহলে কৃষকের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন হবে না।’