কুয়েতে শ্রমবাজার বন্ধ হয়নি: দূতাবাস

ঢাকা: কুয়েতের শ্রম বাজার বাংলাদেশিদের জন্য ফের বন্ধ হয়েছে—এমন খবর নাকচ করে দিয়েছে দেশটির বাংলাদেশ দূতাবাস। কর্মকর্তারা বলছেন, এমন কোনো ঘোষণা আসেনি। তবে কুয়েতে গৃহ খাতের কর্মী যেতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ অনুমতি নিতে হবে।

কুয়েতের দৈনিক আল-আনবা পত্রিকায় আজ বুধবার প্রকাশিত এক সংবাদে বলা হয়েছে, কুয়েতের শ্রম বাজার ফের বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ হয়েছে। সোমবার এ সিদ্ধান্ত নেয় কুয়েতের নাগরিকত্ব ও পাসপোর্ট বিভাগের সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি শেখ মাজেন আল জারাহ।

এতে বলা হয়, গত সপ্তাহের শেষ দিকে, দেশটিতে বাংলাদেশিদের সংখ্যা দাঁড়ায় দুই লাখে। ফলে বাংলাদেশিদের আর নেওয়া হবে না। তবে ভবিষ্যতে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা অথবা কঠিন কিছু শর্তে বাংলাদেশিদের জন্য ফের শ্রমবাজার খুলে দেওয়া হবে কিনা, সে সম্পর্কে কিছুই বলেননি ওই সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি।

এ বিষয়ে জানতে আজ বুধবার যোগাযোগ করা হলে কুয়েতের বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর (শ্রম) আবদুল লতিফ খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘কুয়েতের শ্রমবাজার বাংলাদেশের জন্য বন্ধ হয়নি।

গণমাধ্যমের খবর প্রকাশের পর আমরা দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। বিষয়টি হলো আগে কুয়েতে গৃহ খাতে কর্মী যেতে হলে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি লাগত। মাস ছয়েক আগে এই নিয়ম স্থগিত করা হয়। কিন্তু এখন আবার এই নিয়ম কার্যকর হলো। কিন্তু এর সঙ্গে অন্য কোনো খাতের সম্পর্ক নেই। অন্য সব খাতে স্বাভাবিকভাবেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে কর্মী আসছে।’

বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার কুয়েত ২০০৭ সালে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া বন্ধ করে দেয়। তবে ২০১৪ সাল থেকে আবারও কর্মী যাওয়া শুরু হয় দেশটিতে। ২০১৫ সালে ১৭ হাজার ৪৭২ জন কর্মী গেছেন দেশটিতে। আর এ বছরের আগস্ট পর্যন্ত গেছেন ১৯ হাজার ১৮৪ জন। দেশটিতে দুই লাখেরও বেশি বাংলাদেশি আছে।

দুই লাখের বেশি থাকলে লোক থাকার কারণেই কুয়েত কোনো নেতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে পারে কী জানতে চাইলে আবদুল লতিফ খান বলেন, তাদের এই সিদ্ধান্ত অনেক পুরোনো হলেও তারা অনেক দেশের ক্ষেত্রেই এর চেয়েও বেশি লোক নিচ্ছে। কাজেই বাংলাদেশের কোনো সমস্যা নেই।