কীটনাশক ব্যবহারে সতর্কতা

নিজস্ব প্রতিবেদক : বছরব্যাপী ডেঙ্গু বা এডিস মশা নিধনে ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে ( নগর উন্নয়ন) আহ্বায়ক করে একটি কমিটি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা সারা দেশে গিয়ে মশা নিধন করতে পারবো না। উন্নত বিশ্ব মশা নিধনে কীটনাশক ব্যবহারে সচেতন হচ্ছে। কারণ, কীটনাশক ব্যবহারে পরিবেশের ক্ষতি হয়। এজন্য মশা মারতে গিয়ে যেন পরিবেশ নষ্ট না হয়, সে বিষয়ে দৃষ্টি দিতে হবে। তাই এমন একটি উপায় আমাদের বের করতে হবে যাতে মশা মরে, পরিবেশও বাঁচে।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মশা ও ক্ষতিকর কীট-পতঙ্গের বিস্তার রোধে সমন্বিত ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বৈঠকে এসব কথা জানানো হয়। এ সময় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধিসহ, কুমিল্লা সিটি মেয়র নুরুল হক সাক্কু, সিলেট সিটির মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, করপোরেশন অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এ কে এম আজাদ, স্বাস্থ্য অধিদফতর, পরিবেশ অধিদফতর, বিভিন্ন কীটতত্ত্ববিদসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ডেঙ্গু নিধনে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা, মশাসহ অন্যান্য ক্ষতিকর কীটপতঙ্গের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ (বায়োলজিক্যাল কন্ট্রোর), কার্যকর ও যথাসম্ভব পরিবেশবান্ধব কীটনাশক প্রয়োগ, নাগরিকদের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং বছরজুড়ে ধারাবাহিকভাবে প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করার পরামর্শ দেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো এ বছরের মতো আগামী বছর যাতে ডেঙ্গুর প্রভাব না থাকে সে বিষয়ে কাজ করা। এজন্য আজকের সভায় ম্যানেজমেন্ট ডেভলপমেন্ট করার জন্য একটি কমিটি করতে যাচ্ছি। সে লক্ষ্যে আমাদের স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে ( নগড় উন্নয়ন) আহ্বায়ক করে এর সঙ্গে ঢাকা সিটি করপোরেশন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ববিদ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি করা হবে। তারা বসে একটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কিভাবে উন্নত করা যায়, কী করে সারা বাংলাদেশকে মশক বা ক্ষতিকর কীট-পতঙ্গ থেকে রক্ষা করা যায়, এজন্য একটি ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার জন্য পরামর্শ দেবে। কমিটি আগামী এক মাসের ভেতরে একটি প্রতিবেদন দেবে।

সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ভবন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় কতটা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের উদ্যোগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য দায়বদ্ধতার আওতায় নিয়ে আসবো। একই সঙ্গে কেউ যাতে তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্ন না রাখে সেটি মনিটর করা হবে। এছাড়া ওষুধ বা কীটনাশক অবশ্যই যথাসময়ে যথাযথভাবে আমদানি করার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলো উদ্যোগ নেবে এবং আমরা এটা ফলোআপ করবো।কীটনাশক ব্যবহারে সতর্কতা