কালো কোট পরার বিধি শিথিল করলো হাইকোর্ট

ভার্চুয়ালে ৪ হাজার ৭৩ মামলা নিষ্পত্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক: সময়ের প্রয়োজনে অনেক রীতিতে পরিবর্তন এলেও আদালতে ভিনদেশী ব্রিটিশদের অনুসরনে আইনজীবিদের কালো কোট বা গাউন পরিধানের রীতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি।

সরকারী লকডাউন ও কথিত সীমিত পরিসরের অজুহাতে এবার হাইকোর্টে বিচারক এবং আইনজীবীদের কালো কোট বা গাউন পরার বাধ্যবাধকতার বিষয়টি আপাতত শিথিল করা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল অফিস থেকে এ মর্মে একটি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে করে বলা হয়েছে, সরকারী লকডাউন ও কথিত সীমিত পরিসরের কারণে বিচারক এবং আইনজীবীরা টার্নড-আপ সাদা কলার এবং সাদা ব্যান্ডসহ সাদা শার্ট ও প্যান্ট/শাড়ি বা সালোয়ার কামিজ পরিধান করবে।

আইনজীবী ও বিচারকরা কেন কালো কোট পরে?
বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা ব্রিটিশ শাসনের অনুসরনের চলে এসেছে। সময়ের প্রয়োজনে অনেক রীতিতে পরিবর্তন এলেও আদালতে কালো কোট বা গাউন পরিধানের রীতিতে কোন পরিবর্তন আসেনি। ১৬৮৫ সালে ইংল্যান্ডে রাজা দ্বিতীয় চার্লস মারা যাওয়ার পর শোকের প্রকাশের জন্য আদালতে আইনজীবী এবং বিচারকরা কালো কোট গাউন পরা শুরু হয়। সেই থেকে গত প্রায় ৩৩৫ বছর যাবত কালো কোট পরিধান করার বিদেশী সংস্কৃতি চালু আছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, সেই প্রথা ব্রিটেন তাদের উপনিবেশগুলোর উপর চাপিয়ে দিয়েছে।
অধ্যাপক রহমান বলেন, কালো রঙের সাথে ন্যায়বিচারের কোনো সম্পর্ক নেই।

তবে কালো পোশাক পরিধানের মাধ্যমে আইনজীবীরা নিজেদের একটি স্বতন্ত্র পরিচয় তৈরি করে।

অনেকে মনে করেন, বাংলাদেশের আবহাওয়ার সাথে কালো পোশাক আরামদায়ক নয়। গরমের সময় কালো কোট পরে আদালতে কার্যক্রম পরিচালনা করতে আইনজীবী এবং বিচারকদের অসুবিধা হয়।

অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, একটি স্বাধীন দেশে আদালতের পোশাক ঔপনিবেশিক আমলের রীতি দ্বারা নির্ধারিত হওয়া উচিত নয়।