কানাডার একটি শহরকে ঘিরে রেখেছে ২শ’ ফুট উঁচু আগুনের বলয় (ভিডিও)

নিউজ নাইন২৪, ডেস্ক: ৬ দিনেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি কানাডার আলাবার্টা প্রদেশের দাবানল। পুড়ে গেছে ২ লাখ ১০ হাজার একর এলাকা। আগুন নেভানোর চেষ্টা অব্যাহত থাকলেও তেল সমৃদ্ধ ফোর্ট ম্যাকমারে শহরের একটি তেল উৎপাদন কেন্দ্রে বিস্ফোরণ ঘটার আশংকা করছেন কর্তৃপক্ষ।

বিমানে করে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এ নিয়ে ঐ এলাকার ২৫ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়া হলো।

এদিকে, আগামী রোববার ওই এলাকায় বৃষ্টিপাতের কিছুটা সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ।আগুনের লেলিহানে এভাবেই মুহূর্তে পুড়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে আলাবার্টা প্রদেশের অনেকের সাজানো সংসার। স্মরণাকালের ভয়াবহ দাবানল গ্রাস করে ফেলছে পুরো শহরকে।

এর তীব্র আক্রোশে পুড়ে ভষ্ম হচ্ছে বনভূমি, বসতভিটা, অফিস-আদালত; বাদ পড়ছে না কিছুই। দাবানলের ব্যাপকতায় তেল সমৃদ্ধ ফোর্ট ম্যাকমারের একটি তেল উৎপাদন কেন্দ্রে বিস্ফোরণের আশংকা তৈরি হয়েছে।

নিরাপত্তার খাতিরে বাসিন্দাদের এলাকা ছেড়ে যাবার সুযোগও প্রায় বন্ধের পথে। শহরকে ঘিরে ২’শ ফুট উঁচু আগুনের বলয় তৈরি হওয়ায়, ধোঁয়া আর আগুনের কুণ্ডলীর ফাঁদে আটকা পড়েছে উদ্ধারে নিয়োজিত ১৫’শ গাড়ি।

এমন পরিস্থিতিতে, শহর থেকে সমস্ত যানবাহন নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে আরও অন্তত ৪ দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
canada wildire
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ‘আলবার্টার জন্য প্রয়োজনীয় সবধরনের সহায়তার আবেদন পূরণের চেষ্টা করছে সরকার। দাবানলের কারণে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বাড়ছে। প্রতিনিয়ত বায়ুর গতি ও দিকের পরিবর্তিত হচ্ছে। তাই, পরিস্থিতির নিবিড় পর্যবেক্ষণ করছি আমরা।’

আগুন লাগা পরপরই যারা এলাকা ছাড়তে পেরেছেন, তাদের ঠাঁই হয়েছে প্রতিবেশী শহর এডমন্টনের আশ্রয়কেন্দ্রে। বিধ্বস্ত জনপদের এই বাসিন্দারা শিগগিরই নিজ বাড়িতে ফিরতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

তাদের একজন বলেন, ‘এতদিনে হয়তো আমাদের বাড়ির সবকিছু পুরে ছারখার হয়ে গেছে। এটা খুবই বেদনার। জানিনা, বসতভিটার কতটুকু অক্ষত ফিরে পাবো।’

এদিকে, ১শ ৫০টি হেলিকপ্টার, ২শ’ ৯৫টি ভারি সরঞ্জামবাহী গাড়ি ও ২৭টি বিমানের সহযোগিতায় অবিরাম কাজ করে চলেছেন এক হাজারেরও বেশি দমকল কর্মী। যদিও গেল কয়েকদিনের এ চেষ্টার ফল মিলেছে খুব কমই।

সময় টিভির প্রতিবেদন: