কাঁচা মরিচের আকাশচুম্বী দাম

কাঁচা মরিচের আকাশচুম্বী দাম

নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে ১৬০ টাকা কেজির নিচে কাঁচা মরিচ নেই; দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পণ্যটির দাম অন্তত ১০০ টাকা বেড়েছে।
তবে বাজার ও মানভেদে কাঁচামরিচ সর্বোচ্চ ২০০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্যার কারণে সরবরাহ কমায় কাঁচা মরিচ ছাড়াও অধিকাংশ সবজির দামও বেড়েছে।

রোববার রামপুরা কাঁচাবাজার, মালিবাগ, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, মগবাজার ও কারওয়ানবাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এই চিত্র পাওয়া যায়।

শান্তিনগরের বাসিন্দা রাসেল আহমেদ বলেন, “গত ১৪-১৫ দিন আগেও এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) কাঁচা মরিচ কিনেছি ১৫-২০ টাকা দিয়ে। এখন কেজিতে ২০০ টাকার কমে কাঁচা মরিচ নেই।

“কোনো কোনো দোকানিকে এক পোয়া ৬০ টাকাতেও বিক্রি করতে দেখেছি।”

জানতে চাইলে রামপুরার সবজি বিক্রেতা শাহজালাল বলেন, “পাইকারি বাজারে কাঁচামরিচের আমদানি কম, যে কারণে আমাদের কিনতেই হচ্ছে দেড়শ টাকা কেজি।

“আবার হাতবদলের মধ্যে দিয়ে মরিচ ওজনে কিছু কমেও যায়। এই কারণে খুচরায় ২০০ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে।”

পাইকারি কারওয়ানবাজারের সবজি ব্যবসায়ী মো. সৈকত ও আজগর আলী জানান, বন্যা ও অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে প্রায় সব ধরনের সবজির দামই বেড়েছে। তবে কাঁচামরিচের দামটা একটু বেশি বেড়েছে।

অন্যদিকে বাজার ও মানভেদে অন্যান্য সবজিও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি ধুন্দল, ঝিঙ্গা, কাঁকরল, ঢেঁড়শ, চিচিঙ্গা, পেঁপে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। করলা, বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বরবটি, কচুর লতি, কচুরমুখী ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

আর প্রতি কেজি টমেটো ১০০ টাকা ও গাজর ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। মূলা ৬০ টাকা, শশা ৫০ থেকে ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি হালি কাঁচা কলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং লেবুর হালি ২০ থেকে ৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

বন্যায় দেশের উত্তরাঞ্চল, নিম্নাঞ্চলের বড় অংশ প্লাবিত হওয়ায় এবং বিভিন্ন এলাকায় অতিবৃষ্টির কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে বলে বিক্রেতাদের ভাষ্য।

বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৩০ টাকায়, লেয়ার মুরগি ১৮০ টাকা থেকে ১৯০ টাকায়, পাকিস্তানি কক মুরগি ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায়, দেশি মুরগি ৪৫০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়।

কাপ্তানবাজারের মুরগি বিক্রেতা জয়নাল হোসেন বলেন, কোরবানির ঈদ ঘনিয়ে আসায় খামারিরা তাদের খামার খালি করে মুরগি বাজারে ছেড়ে দিয়েছে। যে কারণে মুরগির দাম কিছুটা কমেছে।

বাজারে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা।

খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা, আর ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা। আর রসুন ৯০ টাকা থেকে ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

নগরীর শ্যামবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুস বলেন, “ঈদ আসলেও পেঁয়াজের দাম বাড়েনি। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৩০ টাকা থেকে ৩২ টাকা, আর আমদানি করা পেঁয়াজের পাইকারি দর ২০ থেকে ২১ টাকা। আর কেজি প্রতি রসুনের দর ৬১ থেকে ৬২ টাকা।”