কাঁচা চামড়া বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরলো আড়তদাররা

চামড়া শিল্পের উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে বকেয়া আদায়ে তাদের কাছে কাঁচা চামড়া বিক্রি বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়ার পরদিন সে অবস্থান থেকে সরে এলেন আড়তদাররা। রোববার বিকেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের উপস্থিতিতে চামড়া খাতের সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত আসে।

বৈঠক শেষে বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা কাঁচা চামড়া বিক্রির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। বকেয়া পাওনা পরিশোধের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগামী ২২ অগাস্ট ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের নেতৃবৃন্দের মধ্যস্থতায় তাদের আড়তদার ও ট্যানারদের মধ্যে বৈঠকে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
এবার কুরবানির ঈদের দিন বিক্রি করতে না পেরে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা লাখখানেকের বেশি কাঁচা চামড়া ফেলে দেন। ওই দিনই কাঁচা চামড়ার উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করতে রপ্তানির সুযোগ দেওয়ার কথা জানায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরপর সরকারের অনুরোধে ট্যানারি মালিকরাও শনিবার থেকে কাঁচা চামড়া কেনার কথা বলেন।

কিন্তু শনিবার আড়তদাররা ট্যানারি মালিকদের কাছে বকেয়া ‘শত শত কোটি টাকা’র সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত কাঁচা চামড়া বিক্রি বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়ায় সঙ্কট নতুন মাত্রা পায়। এমন প্রেক্ষাপটে রোববার চামড়া সংকটে সমাধানে বৈঠকে ট্যানারি মালিক ও আড়তদারসহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বৈঠকের উদ্যোগ নেয় সরকার। বৈঠকের শুরুতে বাণিজ্য সচিব মফিজুল ইসলাম বলেন, ২০ তারিখ থেকে চামড়া কেনার কথা বলেছিলেন ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশেন। ফরিয়া ও আড়তদারদের মধ্যে একটি গ্যাপ রয়েছে বলে ধারণা ছিল। মাঠ পর্যায়ে বলা হল চামড়া সংরক্ষণের জন্য। এ পরিস্থিতিতে ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন ক্রয়ের কথা বলে, তারা কিছু কিছু ক্রয় করেছে তবে তারা সেরকম ভাবে কিনেননি। ইতিমধ্যে চামড়া রপ্তানির ঘোষণা দিয়েছি। এ পরিস্থিতিতে কি করা যায় পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে দায়দায়িত্ব এড়াতে পারি না। চামড়া শিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, চামড়া শিল্প নীতি হচ্ছে। বর্তমানে যে বিশেষ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তা নিয়ে বৈঠক করা হবে। একটি স্থায়ী সমাধানে নিতে চাই। সুদুরপ্রসারী পরিকল্পনাও চলছে। আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।