কর্মী ছাঁটাই শুরু মার্কিন এয়ারলাইন্সে

কর্মী ছাঁটাই শুরু মার্কিন এয়ারলাইন্সে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনাকালীন সংকট মোকাবিলায় মার্কিন সরকারের নেয়া আর্থিক সহযোগিতামূলক প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরদিন থেকেই হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে শুরু করেছে আমেরিকান এয়ারলাইন্সগুলো।

শুক্রবার (২ অক্টোবর) বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে, দেশটির দু’টি বিমান পরিবহন সংস্থাই ৩০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করতে যাচ্ছে। এর মধ্যে অ্যামেরিকান এয়ারলাইন্স ১৯ হাজার ও ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স ১৩ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আমেরিকায় করোনার কারণে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হতে হয়েছে উল্লেখ করে এই দু’টি বিমান সংস্থা বলছে, সরকারের আর্থিক সহযোগিতা প্যাকেজ অব্যাহত থাকলে কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত থেকে তারা সরে আসবে। যদিও এরই মধ্যে মার্কিন সরকার তাদের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা দিয়েছে বলেও খবরে জানানো হয়েছে।

চলতি বছরের শুরুতে যখন আমেরিকায় মহামারি আকারে করোনার আক্রান্ত শুরু হয় তখন মার্কিন কংগ্রেস ও বিমান সংস্থাগুলো করোনা সংকট উত্তরণে সহায়তা, ত্রাণ ও অর্থনৈতিক সুরক্ষা আইনের আওতায় একমত হয়েছিল যে বিমান পরিবহন সংস্থাগুলো ১লা অক্টোবর পর্যন্ত তাদের কর্মীদের কর্মচ্যুত করবে না।

আমেরিকান এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডগ পার্কার এক চিঠিতে সংস্থাটির কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আমি দুঃখিত যে আমরা আমাদের পরিণতির শেষ প্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছি। যা হতে যাচ্ছে তা অবশ্যই কেউ-ই আশা করে না।

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে কর্মীদের জানানো হয়েছে, সংস্থাটির নীতি নির্ধারকরা চাকরি বাঁচানোর জন্য নতুন কোন চুক্তি করতে প্রস্তুত। সেখানে আরও বলা হয়েছে, এ খাত সংশ্লিষ্ট নেতারা একমতে পৌঁছেছে যে, আরও কয়েকদিনের জন্য সরকারি সহায়তা অব্যাহত থাকলে বিমান পরিবহন সংস্থাগুলো তাদের কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা থেকে সরে আসবে।

ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স তাদের কর্মীদের সবশেষে বলেছেন, আমাদের ১৩ হাজার কর্মী বাহিনী, যারা এই সংকটকালে আমাদের ছেড়ে যাচ্ছেন, আমরা আপনাদের ত্যাগকে সব সময় স্মরণ করবো এবং আপনাদের আবার আমাদের সঙ্গে দেখার জন্য মুখিয়ে থাকবো।

এয়ারলাইন্সগুলোর আর্থিক সহযোগিতার জন্য মার্কিন ডেমোক্র্যাটরা ২.২ ট্রিলিয়নের প্যাকজের পক্ষে জোড়াজুড়ি করলেও হোয়াইট তা ১.৬ ট্রিলিয়ন ডলারের মধ্যেই রাখতে চায়। এর সঙ্গে মার্কিন বিমান পরিবহন সংস্থাগুলোর বর্তমান সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে সম্প্রতি আর ২০ বিলিয়ন ডলারের দাবি যোগ হয়েছে।