ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে করা হত্যা মামলার আবেদন খারিজ

কক্সবাজার সংবাদদাতা: কক্সবাজারের মহেশখালীতে ২০১৭ সালে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন আবদুস সাত্তার নামের এক ব্যক্তি। ওসি প্রদীপ পরিকল্পিতভাবে তাকে খুন করেছেন বলে অভিযোগ তুলে একটি মামলা করা হয় মহেশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। মামলার আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মহেশখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে ওই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় পুলিশের পক্ষে দায়ের করা মামলাটিও তদন্তের জন্য সিআইডিকে দায়িত্ব দেয়া হয়।

বুধবার দুপুরে ওসি প্রদীপসহ ২৯ জনকে বিবাদী করে আদালতে মামলার আবেদন করেন নিহত সাত্তারের স্ত্রী হামিদা আক্তার। বাদীপক্ষের আইনজীবী শহিদুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

জানা গেছে, নিহত আবদুস সাত্তারের স্ত্রী হামিদা আক্তার বুধবার মহেশখালী থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি ফৌজদারি দরখাস্ত করে। আদালত আবেদনটি শোনার পর বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে একটি রিট প্রক্রিয়াধীন থাকায় বৃহস্পতিবার দুপুরে আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে। একই সঙ্গে ওই ঘটনায় চার বছর আগে পুলিশের দায়ের করা মামলাটি সিআইডি তদন্ত করবে বলেও আদেশ দেন আদালত। পুলিশের মামলাটি এএসপি পদমর্যাদার নিচে নয়- এমন একজন সিআইডি কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়ার নির্দেশনা দেন আদালত।

এদিকে হামিদা আক্তারের দায়ের করা ফৌজদারি দরখাস্তে ফেরদৌস বাহিনীর প্রধান ফেরদৌসসহ ওই গ্রুপের ২৩ জনকে বিবাদী করা হয়েছিল। আবেদনে তৎকালীন মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ ছাড়াও এসআই হারুনুর রশীদ, এসআই ইমাম হোসেন, এএসআই মনিরুল ইসলাম, এএসআই শাহেদুল ইসলাম ও এএসআই আজিম উদ্দিনকে অভিযুক্ত করা হয়।

ভিকটিম আবদুস সাত্তার হোয়ানক পূর্ব মাঝেরপাড়ার মৃত নুরুচ্ছফার পুত্র।

আবেদনকারী হামিদা আক্তার জানান, গত ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ৭টার দিকে ফেরদৌস বাহিনীর সহায়তায় হোয়ানকের লম্বাশিয়া এলাকায় তার স্বামী আবদুস সাত্তারকে হত্যা করা হয়। তখন এ ঘটনায় থানায় মামলা নেয়নি। অবশেষে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলেন তারা।

এদিকে ২০১৭ সালে উচ্চ আদালতে দায়ের করা রিট আবেদনের বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন রাশেদুল হক খোকন। তিনি যুগান্তরকে জানান, মহেশখালীর ওই ঘটনার পর নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগ তুলে উচ্চ আদালতে একটি রিট আবেদন করেছিলেন। আদালত আবেদনের বিষয় শোনার পর তা এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার জন্য একটি আদেশ দিয়েছিলেন। পরে আসামিপক্ষ এ নিয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করলে আদেশটি বাতিল করে ২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি আবেদনটি আপিল বিভাগ পুনরায় শুনানির জন্য হাইকোর্ট বিভাগে পাঠান। পরে তার আর অগ্রগতি হয়নি।

মহেশখালী থানার বর্তমান ওসি মো. দিদারুল ফেরদৌস বলেন, নিহত সাত্তার একজন তালিকাভুক্ত অস্ত্র ব্যবসায়ী ছিলেন। তার বিরুদ্ধে তখন অস্ত্র মামলাসহ একাধিক মামলা ছিল।