ওবায়দুল কাদের,মেয়র আতিকুল ও কক্সবাজার ডিসিকে আইনি নোটিশ

ওবায়দুল কাদের,মেয়র আতিকুল ও কক্সবাজার ডিসিকে আইনি নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: কুরবানির পশুর হাট নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য প্রদান করায় আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী ও সড়ক-সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ও কক্সবাজার জেলা ডিসি কামালকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।  আল্লামা মুহম্মদ মাহবুব আলম ও চট্টগ্রামের বিশিষ্ট নাগরিক জনাব মুহম্মদ আলী হায়দার সাহেবের পক্ষ থেকে নোটিশসমূহ প্রেরণ করেন সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবি মুহম্মদ মাসুদুজ্জামান এবং এবিএম গোলাম মোস্তফা তাজ।

নোটিশগুলোতে বলা হয়, গত ১ জুলাই ডিসি কক্সবাজার নামক এক ফেসবুক পেজে কক্সবাজারের ডিসি আসন্ন পবিত্র কুরবানিতে করোনার অজুহাত দিয়ে কুরবানির পশুর হাট তো সীমিত করেছে পাশাপাশি দ্বীনদার মুসলমানদের কথা বিবেচনা না করে সেই সীমিত পরিসরে কুরবানির পশুর হাটে না যেতেও উৎসাহিত করেছে এবং অনলাইনে কুরবানির পশু কেনার আহবান জানিয়েছে। পাশাপাশি ঈদের আনন্দ উৎসাহ বিসর্জন দেয়ার আহবান জানিয়েছে। পাশাপাশি মেয়র আতিকুল জনস্বাস্থ্যের অজুহাত দিয়ে রাজধানীতে প্রতিবছর বসা জনপ্রিয় বড় কুরবানির হাটগুলোতে বসতে না দেয়ার এবং পাশাপাশি কুরবানির হাটগুলোকে রাজধানীর বাইরে বসানোর ঘোষণা দিয়েছে।

পাশাপাশি সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পবিত্র কুরবানির পশুর হাটকে স্বাস্থ্যঝুঁকির ভয়ানক কারণ হিসেবে উল্লেখ করে রাস্তার পাশে কুরবানির পশুর হাট না বসানোর ঘোষণা দিয়েছে। যা নোটিশদাতার দ্বীনি কর্মকান্ড পালনে হস্তক্ষেপের সৃষ্টি করেছে।

নোটিশদাতা বলেন, পবিত্র ঈদুল আযহা মুসলমানদের একটি দ্বীনি উৎসব এবং পশু কুরবানি একটি দ্বীনি ইবাদত। পবিত্র কুরবানির পশুর হাট, পশু কেনা-বেচা, পশু কুরবানি ইত্যাদি কাজ সারতে বছরে মাত্র ৪/৫ দিন লাগে। কুরবানির পশুর হাট প্রকৃতপক্ষে কুরবানিদাতাদের নাগালের মধ্যেই বসাতে হবে। যা তারা সহজভাবে পশু কিনতে পারে এবং এটি মুসলিমদের একটি নাগরিক অধিকার। কিন্তু নোটিশগ্রহীতারা তা থেকে মুসলিমদের বঞ্চিত করছে করোনার অজুহাত দিয়ে। অথচ সারা বিশ্বে যেসব দেশে করোনায় সবচেয়ে বেশি মারা গেছে তার প্রথম ১০টি দেশেই লকডাউন হয়েছিলো। অপরদিকে লকডাউন না হয়েও মৃত্যুহারের দিক দিয়ে ১১তম অবস্থানে আছে সুইডেন। আবার অনেক দেশে লকডাউন তুলে নেয়ার পর আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানী ও রসায়নবিজ্ঞানীরা এই লকডাউনকে বিশাল ভুল হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। কিন্তু নোটিশগ্রহীতারা এই করোনা ও লকডাউনের অজুহাত দিয়ে মুসলমানদের দ্বীনি কার্যকলাপে বাধার সৃষ্টি করেছে।

নোটিশে আরো বলা হয়, সাংবিধানিকভাবে যেহেতু বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম সম্মানিত দ্বীন ইসলাম। সুতরাং সম্মানিত ইসলামী আক্বীদাসমূহ রাষ্ট্র দ্বারা সুরক্ষিত। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে মুসলিমদের নিজ দ্বীন পালনের অধিকার রয়েছে। অথচ বাংলাদেশের মুসলিমদেরকে তাদের সাংবিধানিক অধিকার পালনে বাধার সৃষ্টি করা হচ্ছে। প্রজাতন্ত্রের একজন দায়িত্বশীল পদাধিকারী হিসেবে এটা নোটিশগ্রহীতাদের কাছে মোটেও প্রত্যাশিত নয়। উপরন্তু এর মাধ্যমে নোটিশদাতার দ্বীনি অধিকার পালনে হস্তক্ষেপ এবং অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে।

নোটিশদাতা এই নোটিশ পাওয়ার ৭ কার্যদিবসের মধ্যে নোটিশগ্রহীতারা পবিত্র কুরবানির পশুর হাট কমানোর নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য প্রত্যাহারের আহবান ও প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনার আহবান জানিয়েছেন অনথ্যায় নোটিশগ্রহীতাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন।