এলাচ চাষ করে স্বাবলম্বী যশোরের শাহজাহান

এলাচ চাষ করে স্বাবলম্বী যশোরের শাহজাহান

যশোর সংবাদদাতা: এলাচ চাষে সফল হয়েছেন যশোর জেলার বেনাপোলের শাহজাহান। তার বাগানের উৎপাদিত এলাচ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা যাবে বলে জানান এই এলাচ চাষি। শাহজাহান বেনাপোল ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা। মূলত শখের বসেই ব্যবসার পাশাপাশি এলাচের চাষ করেন তিনি।

শাহজাহান জানান, ২০১৬ সালে ছয়টি এলাচের চারা সংগ্রহ করেন তিনি। পরে আরও কিছু চারা সংগ্রহ করে সম্পূর্ণরূপে এলাচের চাষ শুর” করেন তিনি। বেশ কয়েকবার কৃষি বিভাগ ও মসলা ইনস্টিটিউশনের কর্মকর্তারা তার এলাচের বাগান পরিদর্শন করেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের এলাচ চাষিরা তার কাছ থেকে চারা কিনে এলাচ চাষ করছেন।
তিনি আরও জানান, আমাদের দেশ এলাচ চাষের জন্য বেশ উপযোগী। অন্য সব মসলার মতো এলাচ চাষের জন্য আলাদা কোনো জমির দরকার পড়ে না। এলাচ ক্ষেত পরিচর্যার নিয়মিত শ্রমিক প্রয়োজন হয় না। অন্য মসলা চাষের তুলনায় এলাচের চাষে খরচ কম হয় এবং লাভ অপেক্ষাকৃত বেশি।

দেশে এলাচের চাষ বাড়লে ভবিষ্যতে এলাচ দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব। এতে দেশের বেকারত্ব সমস্যা দূর হবে এবং কর্মসংস্থান তৈরি হবে।

শাহজাহান বলেন, এক একর জমিতে এলাচ চাষ করতে খরচ হয় প্রায় সাড়ে ৬ লাখ টাকা। ৫ বছর পর থেকে এক একর জমির এলাচ গাছ থেকে প্রতি বছরে প্রায় ১৫০০ কেজি পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়। যার বাজারমূল্য প্রায় ২০ লাখ টাকা। তাছাড়া একটি এলাচ গাছ ৩০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থেকে ফল দিতে পারে। তিনি আরও বলেন, আশা করছি এলাচ গাছে দ্রুতই গাছে ফল ধরবে। ফল আসার আগেই চারা বিক্রি করে ভালো লাভ পাচ্ছি। এখন পর্যন্ত ৮ লাখ টাকার বেশি চারা বিক্রি করেছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানায়, আমি বেশ কয়েকবার শাহজাহানের এলাচ ক্ষেত দেখতে গিয়েছিলাম। আমাদের পক্ষ থেকে তাকে সব ধরণের সহযোগিতার করা হচ্ছে। তিনি যেভাবে পরিশ্রম করছেন খুব দ্রুতই সফলতা পাবেন আশা করছি।