এবার চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেলো প্রকৌশলী

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার সাভারের জয়নাবাড়ি এলাকার প্রকৌশলী জসিম উদ্দিনের শরীরে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট ছিল। এসব উপসর্গ নিয়ে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ভর্তির কয়েক ঘণ্টা পর তাকে হাসপাতাল ছাড়তে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর এ-হাসপাতাল, ও-হাসপাতাল করে অবশেষে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

জসিম উদ্দিন যে হাসপাতালে মারা গেছেন সেখানকার চিকিৎসক বলেছেন, তার মৃত্যু হয়েছে হৃদ্রোগে। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক আলামতে তার দেহে ভাইরাসের অস্তিত্ব মেলেনি।

জসিম উদ্দিনের শ্যালক ইকবাল হোসেন বলেন, তার ভগ্নিপতি বুধবার থেকে শরীরে ব্যথা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। তিনি বাড়ি থেকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে রোববার বেলা একটার দিকে তাকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিকেলের দিকে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। তাকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তারা রাজি না হওয়ায় হাসপাতালের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা আনসার ডেকে আনেন। রাত ১০টার দিকে তার ভগ্নিপতিকে হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়া হয়।

স্বজনদের ভাষ্য, জসিম উদ্দিনকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তারা। ভাইরাসের সন্দেহ থাকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তাকে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা প্রাথমিক পরীক্ষা করেন। তাতে ভাইরাসে আক্রান্ত থাকার লক্ষণ মেলেনি। তাই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। রাত দেড়টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা নানা অজুহাতে তাকে ভর্তি করেননি। নয়াবাজারের ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। রাত তিনটার দিয়ে ওই হাসপাতালে গিয়ে অনেক অনুনয়-বিনয় করার পর তাকে ভর্তি করা হয়। কিন্তু ভর্তির আধা ঘণ্টার মধ্যেই মারা যান জসিম উদ্দিন। এদিকে রোববার রাতেই জসিম উদ্দিনের বাড়িটি লকডাউন করে দেওয়া হয়।