এবার গমের উৎপাদন গত বছরকেও ছাড়িয়ে যাবে

দ্বন্দের কারণে ফেরত গেল কাবিখার ১৬০ টন গম

দিনাজপুর সংবাদদাতা: দিনাজপুরে এবার গমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষক। মাঠে মাঠে এখন বাতাসে দুলছে কৃষকের সেই স্বপ্ন।

ধানের পাশাপাশি গম চাষে মনোযোগ দিয়েছেন দিনাজপুরের কৃষকরা। দিগন্তজোড়া ক্ষেতে সবুজে ছেয়ে যাওয়া গম গাছ দেখে কৃষকরা বলছেন- এবার গমের উৎপাদন গত বছরকেও ছাড়িয়ে যাবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দিনাজপুর জেলার ১৩ উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে মাঠের পর মাঠ চোখে পড়ে গমের আবাদ। সবুজে ছেয়ে আছে গমের ক্ষেত।

ধানের চেয়ে গমচাষে খরচ কম এবং এ ফসল উৎপাদন করতে কৃষকের শ্রমও লাগে কম। প্রতি বিঘা জমিতে গম চাষে কৃষকের খরচ হয় ছয় থেকে সাড়ে ছয় হাজার টাকা। তাই অল্প শ্রমে স্বল্প ব্যয়ে কৃষকরা গমচাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এক বিঘা জমিতে ১৪ থেকে ১৮ মণ গম ঘরে তোলেন কৃষকেরা।

স্থানীয় কৃষকদের দাবি, কৃষি অফিসের জনবল বৃদ্ধি করে গম চাষে আরও বেশি সেবা দিলে তারা আরও বেশি গম উৎপাদন করতে পারবেন।

গমচাষি আকরাম হোসেন বলেন, অনেক আশা করে জমি প্রস্তুত করে গমের চাষ করেছি। গম ভাল হলে পরিবার পরিজনদের নিয়ে সুখে-শান্তিতে থাকতে পারবো। তাই যতœসহকারে জমি তৈরি করে এবং গমের বীজ বপন করেছি। আশা করছি এবার গমের ফলন ভাল পাবো।

দিনাজপুর জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তৌহিদুল ইকবাল জানান, গত বছরের চেয়ে এ বছরে গমের চাষ বেড়েছে। গেল বছরে জেলায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে কৃষকরা গম চাষ করেছেন। তা বৃদ্ধি পেয়ে চলতি মৌসুমে জেলার ১৩টি উপজেলায় প্রায় ৬ হাজার ১’শ হেক্টর জমিতে গম উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, চাষিরা যাতে সঠিকভাবে গম চাষ করতে পারে সে জন্য জেলার প্রতিটি উপজেলার কৃষি কর্মকর্তারা নানা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা কৃষি অফিসার শামিমা নাজনীন জানান, এবছরে চলতি মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ১৬০ হেক্টর জমিতে গম উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। এখানে গত বছর গম চাষের লক্ষমাত্রা ছিলো ১৫০ হেক্টর।

তিনি বলেন, এবছর গমচাষিরা উচ্চ ফলনশীল বারি ২৫, বারি ২৬, বারি ২৮, বারি ৩০ ও বারি ৩১ জাতের গম জমিতে চাষ করেছে। আমরা প্রতিনিয়ত মাঠে কৃষকদের পাশে থেকে সুপরামর্শ দিয়ে আসছি। আশাবাদী আগামী মার্চ মাসের শেষের দিকে কৃষকরা তাদের গম কেটে ঘরে তুলতে পারবেন।’