এখন ৬ কোটি টাকা মামলার শুনানি করতে পারবেন হাইকোর্টের একক বেঞ্চ

এখন ৬ কোটি টাকা মামলার শুনানি করতে পারবেন হাইকোর্টের একক বেঞ্চ

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেওয়ানি মামলার বিচারের এখতিয়ারসম্পন্ন হাইকোর্টের একক বেঞ্চের আর্থিক এখতিয়ার বাড়িয়ে রুলস সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ করেছেন সুপ্রিম কোর্ট। ফলে এখন থেকে হাইকোর্ট বিভাগের দেওয়ানি এখতিয়ারসম্পন্ন একক বেঞ্চ ছয় কোটি টাকা আর্থিক মূল্যমানের মামলার শুনানি করতে পারবেন; যা আগে ছিল ছয় লাখ।

সংবিধানের ১০৭(১) অনুচ্ছেদ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের এই রুলস সংশোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে জানা যায়, দেওয়ানি মামলা বিচারের ক্ষেত্রে অধস্তন আদালতের বিচারকদের আর্থিক বিচারিক এখতিয়ার বহুগুণ বাড়িয়ে সম্প্রতি আইন সংশোধন করা হয়েছে।

সংশোধনের মাধ্যমে পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত আর্থিক মূল্যমানের মামলার আপিল ও রিভিশন এখতিয়ার দেয়া হয়েছে জেলা ও দায়রা জজ আদালতকে। ওই সংশোধনের আগে কোনো সম্পত্তির আর্থিক মূল্যমান পাঁচ লাখ টাকার ওপরে হলেই বিচারপ্রার্থীকে হাইকোর্টে বিচার চেয়ে আবেদন করতে হতো। আইন সংশোধনের পর এখন কোনো সম্পদের আর্থিক মূল্য পাঁচ কোটি টাকার বেশি হলে বিচার চাইতে হবে হাইকোর্টে। আর এ কারণেই হাইকোর্টে দেওয়ানি বিষয়াদি বিচারের ক্ষেত্রে আর্থিক এখতিয়ার সমন্বয় করতে হাইকোর্ট রুলস সংশোধন করা হয়েছে।

হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বে চার সদস্যের এই রুলস সংশোধন কমিটিতে আরও ছিলেন বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া, বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান।

এর আগে ২৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে ১৮৮৭ সালের দেওয়ানি আদালত আইন সংশোধন বিল পাস করে অধস্তন আদালতে দেওয়ানি মামলা বিচারের ক্ষেত্রে বিচারকদের আর্থিক এখতিয়ার বাড়ানো হয়।

সরকারের পক্ষ থেকে আইন সংশোধন করে অধস্তন আদালতের বিচারিক এখতিয়ার বৃদ্ধি করায় হাইকোর্ট রুলস সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। কারণ হাইকোর্ট রুলসের চ্যাপটার ২-এর রুল-১ (অ্যাক্ট) (এ)-তে বলা আছে, হাইকোর্টের একক বেঞ্চের আপিল ও রিভিশন শুনানির এখতিয়ার ছয় লাখ টাকা। অন্যদিকে দেওয়ানি আইন সংশোধন করে জেলা জজকেই পাঁচ কোটি টাকা মূল্যমানের মামলার আপিল ও রিভিশন শুনানির এখতিয়ার দেয়া হয়েছে।