এখনও ব্যাপারীর দেখা নেই, দুশ্চিন্তায় খামারিরা

চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা: কুরবানির ঈদের আর মাত্র দুই সপ্তাহ বাকি। কুরবানি ঈদকে সামনে রেখে গরু-ছাগল পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চুয়াডাঙ্গার খামারিরা। তবে ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে খামারিদের দুশ্চিন্তা ততই বাড়ছে। এই অবস্থায় খামারিরা গরুর নায্যমূল্য পাবেন কি-না তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে আতঙ্কের ভেতর রয়েছেন খামারি ও গরু পালনকারীরা।

চুয়াডাঙ্গা জেলার চার উপজেলায় কুরবানি উপযোগী যে গরু-ছাগল পালন করা হয়েছে তার বাজার মূল্য প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে খামারিদের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলের মানুষ বাড়তি আয়ের আশায় গরু ও ছাগল পালন করে থাকেন। এ সকল গরু স্থানীয় হাট ছাড়াও রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ বিভিন্ন পশুর হাটে বিক্রি করা হয়। প্রতি বছর পশু পালন করে লাভবান হয়ে আসছেন খামারিরা। কিন্তু এ বছর লকডাউনের কারণে পশু বিক্রি করতে পারবেন কি-না তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। অন্যান্য বছরগুলোতে কুরবানির মাস খানেক আগে থেকেই ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যাপারীরা গরু -ছাগল কেনার জন্য চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন হাট ও খামারিদের বাড়িতে আসতেন।

কিন্তু এ বছর সেইসব ব্যাপারীদের তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না। তাছাড়া বড় বড় শহরে পশুর হাট বসা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাজ করছে। এলাকার পশুর হাটগুলো লকডাউনের কারণে সীমিত আকারে বসলেও সেখানে গরু-ছাগল খুব একটা বেচাকেনা হচ্ছে না। সবমিলিয়ে বছরব্যাপী কষ্ট করে লালন-পালন করা পশু নায্য মূল্যে বিক্রি করতে পারবেন কি-না তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন খামারি ও পশু পালনকারীরা।

চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সাতগাড়ী গ্রামের জহুরুল ইসলাম, হাবলুসহ একাধিক গরু পালনকারী বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে গরু পালন করে আসছি। প্রতি বছর খরচ বাদে বেশ কিছু টাকা লাভ হয়। কিন্তু এ বছর অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছি। কুরবানির আর দুই সপ্তাহ বাকি রয়েছে। বাইরে থেকে কোনো ব্যাপারী আসছেন না।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এএইচএম শামিমুজ্জামান বলেন, প্রতি বছর কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গায় ব্যাপকভাবে পশু পালন করা হয়। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন হাটে বিক্রি করা হয়। গত বছর থেকে এ বছর পশু পালনের সংখ্যা বেড়েছে। জেলার চার উপজেলায় কুরবানির উপযোগী ৩৯ হাজার গরু ও এক লাখ ১২ হাজার ছাগল পালন করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৫০০ কোটি টাকা। এবার লকডাউনের কারণে পশু পালনকারীরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।