এখনও বাড়তি চালের দাম

এখনও বাড়তি চালের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা গুজবকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট গুজবের সুযোগে বাজার অস্থিতিশীল করে ফেলছে অসৎ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট মোকাবেলায় বাজারে চলছে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান। কিন্তু কাজে কাজ কিছুই হচ্ছেনা। আগের চড়া দামেই এখনও বিক্রি হচ্ছে চাল। নতুন করে বেড়েছে আমদানি করা আদা ও রসুনের দাম।

সোমবার রাজধানীর মতিঝিল, মুগদা, খিলগাঁও, রামপুরা বাজারগুলোতে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মান ভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। তিনদিন আগেও যা ছিল ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়।

খুচরা পেঁয়াজ ব্যবসায়ী শহিদুল বলেন, গত পরশুও পেঁয়াজ ৮০ টাকা বিক্রি করেছি। গতকাল ঘাটে (পাইকারি বাজারে) পেঁয়াজ কেনা পড়েছে ৩৬ টাকা। তাই ৪০ থেকে ৪৫ টাকা বিক্রি করছি।

তিনি আরও বলেন, গত সপ্তাহের শেষ দিকে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। এর কারণ মানুষ আতঙ্ক হয়ে বেশি বেশি কিনতে থকে। যার লাগবে এক কেজি নিয়েছে ১০ কেজি। বেশি অর্ডার কাটায় পাইকাররা দাম বাড়িয়ে দিয়েছিল। এখন র্যাবসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থা অভিযান করছে। বাধ্য হয়ে দাম কমিয়েছে। আর পাইকারি বাজারে দাম কমায় আমরা কম দামে বিক্রি করছি।

এদিকে পেঁয়াজের দাম কমলেও এখনও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে চাল। এক সপ্তাহ আগে চাল কেজিতে চার থেকে ছয় টাকা বাড়িয়েছিল। খুচরা বাজারে ওই বাড়তি দামেই এখনও বিক্রি হচ্ছে চল।

মুগদার মুদি ব্যবসায়ী শাহজাহান বলেন, গত পরশু চাল কিনেছি দাম কমেনি। বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। এদিকে নতুন করে বাজারে দাম বেড়েছে আমদানি করা আদা ও রসুনের দাম।

বাজার করতে আসা খিলগাঁও এলাকার এক বাসিন্দা রাসেন জানান, র‌্যাবসহ সরকারি সংস্থাগুলো যেভাবে পেঁয়াজের বাজারে অভিযান করে দাম কমিয়েছে। একইভাবে চালসহ নিত্যপ্রযোজনীয় পণ্যের বাজারে বেশি বেশি অভিযান করা দরকার। কারণ চালের দাম এখনও বেশি।

তিনি বলেন, যাদের টাকা আছে তারা বেশি কিনে মজুত করেছে। সুযোগে ব্যবসাযীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এর মূল্য দিতে হচ্ছে আমাদের মতো স্বল্পআয়ের মানুষদের। তাই সরকারকে কঠোর হতে হবে পাশাপাশি আমাদের ভোক্তাদেরও সচেতন হতে হবে। আমরা সুযোগ না দিলে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়াতে পারবে না।

অন্যদিকে, রাজধানীর বাদামতলীতে চালের অন্যতম বৃহৎ আড়তে অভিযান পরিচালনা করছে র‌্যাব। গতকাল সাদা পোশাকে র‌্যাবের সদস্যরা বাজারে অবস্থান ও যাচাই-বাছাই করেন। বেলা ১১টায় শুরু হয় মূল অভিযান। অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন র‌্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম।

তিনি বলেন, ক্রেতাদের অতিরিক্ত কেনাকাটার ফলে কোনো কারণ ছাড়াই দাম বাড়ানোর অভিযোগ রয়েছে আড়তদারদের বিরুদ্ধে। তাই আমরা দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে অভিযান পরিচালনা করছি। তাদের ক্রয় চালানের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করছি। অভিযান শেষে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানিয়ে দেয়া হবে।