এক লাখ উদ্যোক্তাকে বিজনেস ইনকিউবেশন সুবিধা দেবে বিসিক

এক লাখ উদ্যোক্তাকে বিজনেস ইনকিউবেশন সুবিধা দেবে বিসিক

নিজস্ব প্রতিবেদক: এক লাখ তরুণ ও নারী উদ্যোক্তাকে বিজনেস ইনকিউবেশন সুবিধা এবং ব্যবসা উন্নয়ন সেবা দেবে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব আইডসিটি ইন ডেভেলপমেন্ট’র (বিআইআইডি) সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে সংস্থাটি।

গত রোববার (১৩ ডিসেম্বর) বিসিক সচিব মফিদুল ইসলাম ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব আইসিটি ইন ডেভেলপমেন্ট’র (বিআইআইডি) প্রধান নির্বাহী কমর্কতা শহীদ উদ্দিন আকবর নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন।

বিসিক কার্যক্রমে তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক আধুনিক ব্যবসা উন্নয়ন সেবা প্রবর্তনের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের আরও উন্নত সেবা দেয়ার অংশ হিসাবে ইনকিউবেশন, প্রোটো-টাইপিং, কো-ওয়ার্কিং স্পেস এবং মেন্টরশিপের মতো ব্যবসা সহায়তা এই চুক্তির আওতায় বিআইআইডি’র বি-ল্যাব উদ্যোগের মাধ্যমে দেওয়া হবে। বিআইআইডি ইনকিউবেটর পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার সব কারিগরি সহায়তা দেবে ও বিসিক যাবতীয় লজিস্টিক ও স্থানীয় সেটআপ ব্যবহারের সুযোগ দেবে।

পাইলটভিত্তিতে গোপালগঞ্জ এবং নরসিংদী জেলার আওতাধীন কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাদের বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তাদের এই সেবা দেওয়া হলেও বিসিকের সব কার্যালয়ে অনলাইনভিত্তিক ব্যবসা উন্নয়ন সহায়তা পাওয়া যাবে। বাংলাদেশে এই প্রথম স্থানীয় পর্যায়ে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ইনকিউবেশন সুবিধা দেওয়ার জন্য বিআইআইডি’র বি-ল্যাব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং বিসিকের সব স্থানীয় কার্যালয়ে পর্যায়ক্রমে ইনকিউবেশন সুবিধা দেওয়া হবে। স্থানীয় উদ্যোক্তারা যে কোনো স্থান থেকে অনলাইনে ভার্চুয়াল ইনকিউবেশন সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) দেশের ৬৪টি জেলায় ৬৪টি শিল্প সহাযয়ক কেন্দ্র, ৭৬টি শিল্পনগরী, ১৫ টি দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র, একটি নকশা কেন্দ্র এবং একটি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে উদ্যোক্তা সৃষ্টিসহ কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প রক্ষায় বিভিন্নমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।

শিল্পপ্লট বরাদ্দ দেওয়া, উদ্যোক্তাদের শিল্প স্থাপনে ঋণ সহায়তা প্রদান, দক্ষতা ও ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ দেওয়া, সাব-কন্ট্রাক্টিং সংযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, শিল্পপণ্যের নকশা উদ্ভাবন, উন্নয়ন ও বিতরণ, উদ্যোক্তাদের পণ্যের প্রচার ও প্রসারে মেলার আয়োজন, লবণ উৎপাদন এবং মৌমাছি পালনে সার্বিক সহায়তা দিয়ে থাকে সরকারি এই সংস্থাটি। এছাড়া, বিসিক ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প নিবন্ধন, ট্যাক্স, ভ্যাট, আমদানি শুল্ক কর ইত্যাদি মওকুফ ও যৌক্তিকীকরণ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থা বরাবর সুপারিশ করা, আয়োডিনযুক্ত লবণ উৎপাদন, শিল্পের নিবন্ধনসহ বিভিন্ন বিষয়ে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। বিসিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি করে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। উদ্যোক্তাদের সেবা প্রদানের জন্য দেশব্যাপী বিসিকের প্রাতিষ্ঠানিক নেটওয়ার্ক রয়েছে বিসিকের।