ভোলার কৃষকদের সাফল্য, একই জমিতে চার ফসল!

নিউজ নাইন২৪ডটকম, ভোলা: একই জমিতে বছরে চার ফসল ফলিয়ে সাফল্য এনেছেন ভোলার কৃষকরা। ভোলার দৌলতখান উপজেলার ১৫ জন কৃষক এক জমিতে বছরে চার ফসল উৎপাদন করে ব্যাপক সাফল্য পাওয়ায় অন্য কৃষকদের মাঝে তা ব্যাপক আগ্রহের জন্ম দিয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের তত্ত্বাবধানে চার ফসলভিত্তিক ফসল বিন্যাস উদ্ভাবন কর্মসূচির আওতায় এ কার্যক্রম চলছে।

বর্তমানে ভোলাসহ দেশের ১৫ টি জেলা এ কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে।

দৌলতখান উপজেলার কৃষক আলাউদ্দিন, হারুন, আনোয়ার হোসেন, শাহজাহান সরকার, চুন্নু মিয়া জানান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞানীদের পরামর্শে এক জমিতে বছরে চার ফসল আউশ, আমন, সরিষা ও মুগ চাষ করে তারা ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন।

তাদের হিসাব অনুযায়ী, প্রতি এক একর জমিতে আউশ চাষে খরচ সাত হাজার টাকা। আয় ১১ হাজার টাকা। আমনে খরচ সাড়ে ১১ হাজার টাকা, আর আয় ১৬ হাজার টাকা। সরিষায় খরচ পাঁচ হাজার টাকা, আয় ১২ হাজার টাকা এবং মুগ চাষে খরচ তিন হাজার টাকা, আর আয় হয় সাড়ে ছয় হাজার টাকা। তাদের দেখাদেখি অন্য কৃষকরাও এক জমিতে বছরে চার ফসল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। বৈশাখ থেকে শ্রাবণে আউশ, আষাঢ় থেকে কার্তিকে আমন, অগ্রহায়ণ থেকে মাঘ পর্যন্ত সরিষা এবং ফাল্গুন থেকে চৈত্র মাসে মুগ চাষ করা হয়।

কৃষকরা বলছেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞানীদের পরামর্শ নিয়ে তাদের দেওয়া বীজে ফসলও ভালো হচ্ছে। তাছাড়া, আর্থিকভাবেও তারা লাভবান হচ্ছেন। তাদের উৎপাদিত মুগ ডালসহ অন্য ফসলের উৎপাদন খরচ কম এবং ফলনও তুলনামূলক বেশি হয়।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের ভোলার সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘কৃষকরা এ প্রক্রিয়ায় চাষাবাদ করে ফসলের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর পাশাপাশি নিজেরা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন।’
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট শেরপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, পাবনা, রাজশাহী, বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর, কুষ্টিয়া, খুলনা, ভোলা, কুমিল্লা, গাজীপুর, জামালপুর জেলায় এ প্রকল্প গ্রহণ করেছে।