উপজাতি সন্ত্রাসীদের তান্ডব: খুন আর অপহরণের রাজ্য পার্বত্য ৩ জেলা

খুন আর অপহরণের রাজ্য পার্বত্য ৩ জেলা

পার্বত্য সংবাদদাতা: পাহাড় থেকে কথিত শান্তিচুক্তির অজুহাতে সেনা হটানোর পরই অশান্ত হয়ে পড়েছে পার্বত্য ৩ জেলা। জেলাগুলোতে এখন চলছে উপজাতি সন্ত্রাসীদের আধিপত্য বিস্তারের ঘৃণ্য কার্যক্রম। নিজেদের মধ্যে আন্তকোন্দলে প্রায় সেখানে খুনের ঘটনা ঘটছে। এছাড়া প্রতিনিয়ত নিরীহ বাঙালীদের হত্যা তো রয়েছেই। স্থানীয় বাঙালীরা বলছেন, সরকার যদি আবারও পাহাড়ে যথেষ্ট পরিমাণ সেনা মোতায়েন করে তাহলেই কেবল পাহাড়ে শান্তি ফিরবে।

বান্দরবান সদর উপজেলার বাঘমারা, জামছড়ি, নাসালং পাড়া, আন্তা পাড়া, ক্যনাইজু পাড়া, মনজয় পাড়া, রাজবিলা এখনও উপজাতি সন্ত্রাসপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত। প্রায়ই এসব এলাকায় চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুন, গুমসহ নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকা- ঘটাচ্ছে উপজাতি সন্ত্রাসীরা

একসময় রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার সীমান্তবর্তী এসব এলাকা পুরোপুরি উপজাতি সন্ত্রাসী সংগঠন জেএসএসএর নিয়ন্ত্রণে ছিল। বান্দরবানে জেএসএস (মূল)-এর সংগঠন থাকলেও এখানে জেএসএস (সংস্কার)-এর কোনও সংগঠন ছিল না। প্রায় বছর খানেক আগে জয় বাহাদুর ত্রিপুরা আহ্বায়ক হয়ে বান্দরবানে সন্ত্রাসী সংগঠন জেএসএস (সংস্কার)-এর কার্যক্রম চালু করে। তাদের অভিযোগ, নতুন এ সংগঠনের কার্যক্রম চালু করার বিষয়টিকে মেনে নিতে পারেনি অন্য উপজাতি সন্ত্রাসী দল জেএসএস (মূল)। এ কারণেই গত মঙ্গলবার ছয় জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, উপজাতি সন্ত্রাসী সংগঠন জেএসএস (সংস্কার) সাংগঠনিক কার্যক্রম চালু করায় অন্য উপজাতি সন্ত্রাসী সংগঠনের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। উপজাতি সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। এর আগেও বেশ কয়েকবার তাদের মধ্যে সমস্যা হয়েছিল। প্রায় মাসখানেক আগেও বেশ কয়েকবার নতুন অফিসের সামনে ফাঁকা গুলি করা হয়েছিল।