ঈদে মীলাদুন নবী রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনসহ ১২ দফা দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ

ঢাকা: পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বোচ্চ মর্যাদায় ও সর্বোচ্চ পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যাপকভাবে পালনের লক্ষ্যে ১২ দফা দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ আন্তর্জাতিক উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল আজ বুধবার বিকেলে ঢাকা জেলা প্রশাসক মুহম্মদ সালাউদ্দিন সাহেবের কাছে হস্তান্তর করেন।
স্মারকলিপিতে উত্থাপিত ১২ দফা দাবীর মধ্যে রয়েছে-
(১) হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে মানহানীকর বক্তব্য, লেখা, প্রকাশনা, টিভি প্রোগ্রাম, রেডিও প্রোগ্রাম, ইন্টারনেটে স্ট্যাটাসসহ যে কোন বিষয় প্রচার, প্রকাশ ও প্রদানকারীর শাস্তি শুধুমাত্র মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। মানহানীকর সকল বিষয় নিষিদ্ধ করতে হবে এবং দোষী ব্যক্তির শাস্তি কার্যকরে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

(২) পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনে সরকারীভাবে সর্বোচ্চ বাজেট বরাদ্দ করা।

(৩) এ মাসে সর্বপ্রকার অশ্লীল ও অশালীন কাজ বন্ধ রাখা।

(৪) সব মন্ত্রনালয় ও বিভাগে ব্যাপকভাবে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনের নির্দেশনা জারী করা।

(৫) মাসব্যাপী ছুটি ঘোষণা করা।

(৬) প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সর্বস্তরের জনগণের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করা।

(৭) সরকারী-বেসরকারী সব প্রতিষ্ঠানে ছাড় দেয়া এবং বিশেষ পণ্য সামগ্রী তৈরী করা।

(৮) প্রজাতন্ত্রের সকল মুসলমান কর্মচারীকে নববর্ষের পরিবর্তে রবীউল আউয়াল শরীফ মাসে বোনাস প্রদান করা। দেশব্যাপী সরকারী-বেসরকারী স্থাপনাসমূহ মনোরম সাজে সজ্জিত করা। বছরব্যাপী ইসলামী ও সামাজিক অনুষ্ঠানসূচী ঘোষণা করা। যেমন, ওয়াজ মাহফিল, দ্বীনি তা’লীমের ব্যবস্থা, বই প্রদর্শনী, সামরিক প্রদর্শনী, সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা, পতাকা উত্তোলন, অস্বচ্ছল ও বেকারদের চাকুরীর ব্যবস্থা দেয়া, গৃহহীনদের গৃহ দেয়ার ঘোষণা দেয়া।

(৯) সব শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তকে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সুমহান জীবনী মুবারক বাধ্যতামূলক করা। উনাদের বিরোধী বিষয়গুলো প্রত্যাহার করা।

(১০) সরকারী-বেসরকারী সকল প্রতিষ্ঠান ও মসজিদে-মাদরাসায় এ দিনে বিশেষ মীলাদ শরীফ মাহফিল আয়োজন করা।

(১১) সর্বস্তরে পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ জারী করতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মতো স্বতন্ত্র শক্তিশালী গবেষণা কেন্দ্র এবং পৃথক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা।
(১২) মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, ইয়াতিমখানা, মাজার শরীফ সমূহে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা, দেশের সকল বিভাগ, জেলা, থানাভিত্তিক তথা সারাদেশব্যাপী সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে সর্ব সাধারণের মধ্যে প্রতিযোগীতার আয়োজন করা। যাতে সবাই খুশী প্রকাশ করতে পারে।
স্বারকলিপি গ্রহণ করে জেলা প্রশাসক নিজ জেলা ঢাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়নের নির্দেশ প্রদান করেন পাশাপাশি স্মারকলিপিটি আজই প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সংগঠনের সভাপতি ও বাংলাদেশ আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত এর কেন্দ্রীয় আহবায়ক আল্লামা মুহম্মদ মাহবুব আলম। প্রতিনিধি দলে ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সিনিয়র সহ সভাপতি লায়ন মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, সম্মিলিত গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফেজ মাওলানা আব্দুস সাত্তার, বঙ্গবন্ধু ওলামা ফাউন্ডেশনের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফেয়ী, দৈনিক আল ইহসান পত্রিকার সাংবাদিক সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুক্তাদুল ইসলাম প্রমুখ।