আমেরিকায় মুদ্রাস্ফীতির রেকর্ড!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এ বছরের গোড়ায় আমেরিকার মুদ্রাস্ফীতি ৭ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে বলে সতর্ক করেছে দেশের সর্বোচ্চ ব্যাংক। ২০২১ সালে আমেরিকার মুদ্রাস্ফীতি ৫.৫ শতাংশে পৌঁছেছিল। মূলত করোনার কারণেই অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছিল প্রশাসন।

জো বাইডেনের প্রশাসন জনগণকে জানিয়েছিলো, অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য তারা সবরকম ব্যবস্থা নেবে। দ্রুত মার্কিন অর্থনীতি ফের ঘুরে দাঁড়াবে।

বস্তুত, বাইডেন অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য বেশ কিছু পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছিলো। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, কোনো কিছুতেই কোনো লাভ হয়নি। অর্থনীতি আরো সংকটের মুখে পড়েছে। যার জেরে এ বছরের গোড়ায় মুদ্রাস্ফীতিসাত শতাংশ গিয়ে ঠেকেছে। যা গত চার দশকের মধ্যে কখনো ঘটেনি।

বিশেষজ্ঞরা বলছে, ১৯৮২ সালের জুন মাসে শেষবার এই পরিমাণ মুদ্রাস্ফীতি দেখেছিল আমেরিকা। বস্তুত, গত বছরের ৫.৫ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতিও ঐতিহাসিক ঘটনা ছিল। ১৯৯১ সালে শেষবার ওই পরিমাণ মুদ্রাস্ফীতি হয়েছিল।

মুদ্রাস্ফীতির জেরে বাজার দর অনেক বেড়ে গেছে। বাড়ি ভাড়া থেকে শুরু করে সেকেন্ডহ্যান্ড গাড়ি, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস থেকে কাঁচা বাজার- সব কিছুর দামই ঊর্ধ্বমুখী। হিসেব বলছে, গত কিছুদিনে বাড়িভাড়া বেড়েছে চার.এক শতাংশ। খাবারের দাম বেড়েছে ৬.৩ শতাংশ। পুরনো গাড়ির দাম বেড়েছে ৩৭.৩ শতাংশ। এছাড়াও জামাকাপড়, জুতো, ওষুধ সব কিছুরই দাম বেড়েছে। এবং ক্রমশ বেড়েই চলেছে।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অবশ্য মার্কিন জনগণকে আশ্বাস দিয়ে বলেছে, এখনই মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। বিশ্বজুড়ে করোনা প্রকোপের জন্যই এমনটা ঘটেছে।

কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছে, মার্কিন নাগরিকদের কাছে এখন মুদ্রাস্ফীতি সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয়। করোনার চেয়েও এ বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে বেশি। সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত। বস্তুত, সর্বোচ্চ মার্কিন ব্যাংকও মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। দ্রুত এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন বলেও সরকারকে তারা জানিয়েছে।