আবরারের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট:সুপ্রভাত পরিবহনের বাসচাপায় নিহত বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরীর পরিবারকে ‘জরুরি খরচ’ বাবদ ১০ লাখ টাকা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। সুপ্রভাত পরিবহন কর্তৃপক্ষকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে এ টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।

বুধবার (২০ মার্চ) একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

রুলে সড়ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাধারণের নিরাপত্তা দিতে কর্তৃপক্ষের ‘অব্যাহত ব্যর্থতা’ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং দুর্ঘটনায় নিহত আবরারের পরিবারকে কেন ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেয়া হবে না- তা জানতে চানতে চাওয়া হয়েছে।

একইসঙ্গে স্বরাষ্ট্র সচিব, সড়ক ও সেতু সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিআরটিএ, সুপ্রভাত পরিবহনসহ ৮ বিবাদীকে আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে উক্ত রুলের জবাব দেয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সারোয়ার কাজল।

রিটের শুনানি শেষে রিটকারী আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আদালতের মাধ্যমে এবং বিভিন্ন সভা-সমাবেশের মাধ্যমে সড়কে হত্যাকাণ্ড, নৈরাজ্য ও সড়কে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার রয়েছি।’

গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বসুন্ধরায় যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে নদ্দা এলাকায় সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাসের চাপায় নিহত হন বিইউপি ছাত্র আবরার আহমেদ চৌধুরী। এ ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। বিকেলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নুর।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে মঙ্গলবারের মতো বুধবার সকালেও শিক্ষার্থীরা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার প্রবেশমুখে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। বিইউপিসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েক শ শিক্ষার্থী এতে যোগ দিয়েছেন।

অপরদিকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার বেলা ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আশপাশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।

এরইমধ্যে গতকাল সুপ্রভাত পরিবহনের ঘাতক বাসটির নিবন্ধন সাময়িকভাবে বাতিল করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।