অস্ত্র আইনে দণ্ড কম কেন : হাইকোর্ট

ছুটিতে কর্মস্থল ছাড়া যাবে না : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন

নিজস্ব প্রতিবেদক : অস্ত্র মামলা আইনের বিধান অনুযায়ী আসামিকে নির্ধারিত সাজার (সর্বনিম্ন ১০ বছর) থেকে কম (৭ বছরের দণ্ড) সাজা দেয়ার কারণ জানাতে নাটোরের তিন নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিনের কাছে ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

আগামী ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে তাকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। সেদিন পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।

ওই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আসামির আপিল আবেদনের শুনানিতে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি এএনএম বশির উল্লাহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আসামিপক্ষের শুনানিতে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. তাহেরুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আমিনুল ইসলাম ও আনোয়ারা শাহজাহান এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ফাতেমা রশিদ।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ২০১৭ সালের ২৭ জুলাই পিস্তলসহ মো. রাজ্জাককে গ্রেফতার করে পুলিশ। একইদিন তার বিরুদ্ধে নাটোর সদর থানায় মামলা হয়। এই মামলায় বিচার শেষে চলতি বছরের ২৮ মার্চ রাজ্জাককে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন নাটোরের তিন নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিন। ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯(ক) ধারায় এই সাজা দেয়া হয়। অথচ আইনের এই ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং সর্বনিম্ন সাজা ১০ বছর কারাদণ্ড।

আসামি ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল আবেদন করেন। বৃহস্পতিবার আদালত তার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে নথি তলব করেছেন। একই সঙ্গে দণ্ডের বিষয়টি নজরে আসায় ওই বিচারকের কাছে বিষয়টি জানতে ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট।

আইনের কোন কর্তৃত্ববলে এ আদেশ দিয়েছেন তা আগামী ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে বিচারক বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিনকে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আদালত আগামী ২৫ জুলাই পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন।