অর্থকরী খাতগুলোতে বাড়ছে কর্মসংস্থানের সুযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের ১০টি সম্ভাবনাময় খাতে কত কর্মীর চাহিদা রয়েছে, ভবিষ্যতে কতটা কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে, কেমন দক্ষতার কর্মী লাগবে, তা নিয়ে একটি গবেষণা চালিয়েছিল বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ-বিআইডিএস।

এই গবেষণায় জানা গেছে-

১. তৈরি পোশাক

বর্তমানে দেশের তৈরি পোশাক শিল্পে প্রায় ৪৯ লাখ শ্রমিকের চাহিদা রয়েছে। বিআইডিএস-এর গবেষণা অনুযায়ী ২০২৫ সাল নাগাদ তা বেড়ে প্রায় ৯১ লাখে দাড়াবে। এর মধ্যে দক্ষ শ্রমিক প্রয়োজন হবে ৫০ লাখ ২৭ হাজার।

২. টেক্সটাইল

টেক্সটাইল বা বস্ত্র খাতে ৩০ লাখ শ্রমিকের চাহিদা রয়েছে বর্তমানে। আগামী পাঁচ বছরে যা ৫৭ লাখে ঠেকবে। প্রায় দেড় কোটি শ্রমিক লাগবে ২০৫০ সালে।

৩. কৃষি-খাদ্য

বাংলাদেশের কৃষি-খাদ্য খাতে এখন প্রায় ২৪ লাখ শ্রমিকের চাহিদা। ২০২৫ সালে যা বেড়ে ৪৪ লাখে পৌছাবে। ২০৫০ সাল নাগাদ এই খাতে এক কোটি ১৬ লাখ কর্মী লাগবে।

৪. নির্মাণ

নির্মাণ খাতে ২০১৮ সালে প্রায় ৩৭ লাখ শ্রমিকের চাহিদা ছিল। যা ক্রমশ বেড়ে ৬৭ লাখে পৌছাবে ২০২৫ সাল নাগাদ। সেখানে দক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন হবে ১৫ লাখ ৪০ হাজার। আগামী ৩০ বছরের মধ্যে অদক্ষ, দক্ষ, আধাদক্ষ মিলিয়ে এই খাতে মোট এক কোটি ৭৬ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।

৫. হালকা প্রকৌশল

২০২০ সালের জন্য হালকা প্রকৌশল পণ্যকে ‘বর্ষপণ্য’ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। বর্তমানে এই খাতে প্রায় ছয় লাখ শ্রমিক রয়েছে। ২০২৫ সাল নাগাদ সেখানে শ্রমিকের চাহিদা আরো চার লাখ বাড়বে। যার মধ্যে ৮০ ভাগই দক্ষ হতে হবে। সব মিলিয়ে ২০৫০ সালে হালকা প্রকৌশলে দুই কোটি ৬৯ লাখ কর্মী প্রয়োজন হবে।

৬. স্বাস্থ্য

২০১৮ সালে স্বাস্থ্য বা চিকিৎসা সেবায় কর্মীর চাহিদা ছিল ১০ লাখ। যা ১৯ লাখে পৌছাবে ২০২৫ সালে। ২০৫০ সাল নাগাদ স্বাস্থ্যসেবা অর্ধকোটির বেশি মানুষের কর্মসংস্থানের যোগান দিতে পারে।

৭. তথ্য-প্রযুক্তি

তথ্য প্রযুক্তিখাতে বর্তমানে কর্মীর চাহিদা প্রায় দুই লাখ। ২০২৫ সালে নাগাদ যা বেড়ে প্রায় চার লাখ হবে। ২০৫০ সালে আট লাখ কর্মীর কর্মসংস্থান হবে এই খাতে।

৮. জাহাজ নির্মাণ

বর্তমানে দেশে জাহাজ নির্মান শিল্পে শ্রমিকের চাহিদা প্রায় ষাট হাজার। ২০২৫ সাল নাগাদ তা দুই লাখ ছাড়িয়ে যাবে। এর মধ্যে সাড়ে ২১ হাজার দক্ষ, সাড়ে ৯৭ হাজার আধাদক্ষ আর এক লাখ ১৭ হাজার অদক্ষ কর্মী লাগবে।

৯. চামড়া শিল্প

এই শিল্পে এখন প্রায় এক লাখ আঠারো হাজার কর্মীর চাহিদা রয়েছে। ২০২৫ সালে তা বেড়ে দুই লাখ আট হাজার হবে। প্রয়োজন হবে ১৭ হাজার দক্ষ, ১৬ হাজার নয়শো আধাদক্ষ আর এক লাখ ৭৩ হাজার দক্ষ শ্রমিক।