অর্গানিক পদ্ধতিতে মুরগি ডিম উৎপাদনে সাফল্য

অর্গানিক পদ্ধতিতে মুরগি ডিম উৎপাদনে সাফল্য

নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্পূর্ণ অর্গানিক পদ্ধতিতে মুরগি ও ডিম উৎপাদনে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার মাদার্শা গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা ফখরুল ইসলাম। তার উৎপাদিত ‘রহমানিয়া অর্গানিক ডিম’ এখন চট্টগ্রামের সব সুপারশপ ছাড়াও রপ্তানি হচ্ছে বেলজিয়াম, ভারত, নিউজিল্যান্ড, আমেরিকা, লন্ডন, সুইডেনসহ বিভিন্ন দেশে।

প্রায় ২০ বছর আগে শুরু করা সাতকানিয়ার মাদার্শা গ্রামে নিজের বাড়িতে ফখরুলের অর্গানিক পদ্ধতিতে মুরগি পালন এখন তাকে লাভ দিতে শুরু করেছে। ওই গ্রাম ছাড়িয়ে তাই এটি আলোড়ন তুলেছেন চট্টগ্রামের সর্বত্র। তার এ কাজ শুরুর দিনগুলোতে যারা এ নিয়ে সন্দেহ-সংশয় প্রকাশ ও হাসাহাসি করেছিলো, তারাও এখন ফখরুলের পদ্ধতিতে মুরগি পালনে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

ফখরুল জানান, খামারে ব্রয়লার ও লেয়ার দুই ধরনের মুরগিকে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক বা জৈব পদ্ধতিতে তৈরি খাবার দেন; যে খাবারে প্রাকৃতিক ঔষধি গুণসম্পন্ন ৩০ ধরনের হারবাল পণ্য ব্যবহৃত হয়। যার কারণে মুরগি ও মুরগির ডিম সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যসম্মত, খেতে সুস্বাদু এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত হয়। তিনি আরও জানান, অর্গানিক ডিম ও মুরগি উৎপাদন করে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও পেয়েছেন। ১৮ বছর প্রচেষ্টায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উদ্ভাবকদের উদ্ভাবিত পেটেন্টের পাশে স্থান করে নিয়েছে তার এই উদ্ভাবন। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা পেরিয়ে পোলট্রি রিচার্স অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার রহমানিয়া অ্যাগ্রোর উৎপাদিত ডিম ও মুরগি পরীক্ষা করে ‘অ্যান্টিবায়োটিকমুক্ত সনদ’ প্রদান করে। পরে বাংলাদেশ শিল্প ও বিজ্ঞান গবেষণাগার, ঢাকার ল্যাবে ফখরুলের উৎপাদিত ডিম ও মুরগিকে অ্যান্টিবায়োটিক কোলেস্টেরল, ক্রোমিয়ামমুক্ত সনদ দেয়। সর্বশেষ আইএফএসটিও সনদ দিয়েছে। এসব কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ প্যাটার্ন ডিজাইন ও ট্রেড মার্ক অধিদপ্তর দেশে সর্বপ্রথম ও একমাত্র অর্গানিক মুরগি এবং মুরগির ডিম উৎপাদন প্যাটার্ন অনুমোদন করেছে।