অপরাধের ধরন অনুযায়ী রাজাকারদের বিচার হবে

অপরাধের ধরন অনুযায়ী রাজাকারদের বিচার হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজাকারদের বিচার প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘প্রকাশিত রাজাকারদের তালিকা এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যাচাই-বাছাই করে দেখবে। সেখানে অপরাধের ধরন অনুযায়ী রাজাকারদের বিচার হবে।’

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দফতরে নেপালের উপ-প্রধানমন্ত্রী উপেন্দ্র যাদব, যুগ্ম সচিব গৌতম ফণিন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সে এসব কথা বলে। এ সময় আইন মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব ওয়ালিদ মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনালের যে তদন্তকারী সংস্থাটি রয়েছে, তারা দেখবে যে কার বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া উচিত। কার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আওতায় বিচার করা উচিত। তারা যদি তালিকায় থাকা রাজাকারদের বিষয়ে তদন্ত করে অপরাধের প্রমাণ পায় নিশ্চয় তাদের বিচার হবে।’

দীর্ঘদিন পর রাজাকারদের তালিকা প্রকাশের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ইতিহাসে সবকিছু পরিষ্কার হওয়া ভালো। আমার মনে হয়, নতুন প্রজন্ম এবং সব প্রজন্মকে সত্য ইতিহাসটা জানা উচিত। আমরা স্বাধীন হয়েছি কীভাবে, আমাদের স্বাধীনতা পর্যন্ত এনেছেন যিনি সে জাতির পিতার কথাও কিন্তু আমরা এক সময় বলতে দ্বিধাবোধ করেছি।’

‘আমার মনে সেটা অবসান হওয়া উচিত। এসব রাজাকারের তালিকা এবং আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে একটি সুন্দর শক্তিশালী এবং উন্নত বাংলাদেশ গড়তে সাহায্য করবে।’

বৈঠকের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আইনি বিষয়ে নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান এবং নেপালের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ পরিবহন আরও সহজীকরণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, সৈয়দপুর বিমানবন্দর এবং মোংলা পোর্টে মালামাল পারাপারের জন্য নেপাল ব্যবহার করতে পারবে সে বিষয়টিও আলোচনা হয়েছে। আমাদের আলোচনা ফলপ্রসূ হবে বলে আমি মনে করি।

নেপালের উপ-প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ-নেপালের জনগণ টু জনগণ, সরকার টু সরকারের মধ্যে অত্যন্ত সুন্দর ও সুসম্পর্ক রয়েছে। আমাদের এ সম্পর্ক দিন দিন আরও ভালো হচ্ছে। আজ বিচার ও আইন বিষয়ে খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। একই সঙ্গে জুডিশিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রিরিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট সহযোগিতা প্রয়োজন হলে করা হবে। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে নেপালে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থা চালু হলে উভয় দেশের জনগণ লাভবান হবে।’

উল্লেখ্য, দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

মহান বিজয় দিবসের প্রাক্কালে রোববার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এ তালিকা ঘোষণা করেন তিনি।

একাত্তরে খুন, ধর্ষণ, নির্যাতন, লুণ্ঠনে যারা পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতা করেছিলেন, সেসব রাজাকারের তালিকার এটি প্রথম পর্ব।