অনাবাদি জমি থেকেও লাখ টাকার বেগুন বিক্রি

অনাবাদি জমি থেকেও লাখ টাকার বেগুন বিক্রি

হবিগঞ্জ সংবাদদাতা: অনাবাদি ব্রিক ফিল্ড এলাকার জমিতে বেগুন ফলিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কৃষক আরব আলী। এ জমি থেকে তিনি ৬ মাসে লাখ টাকার বেগুন বিক্রি করেছেন। হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার বালিয়ারী এলাকায় কয়েকটি ব্রিক ফিল্ড থাকায় এখানের জমি চাষাবাদ উপযোগী নয় বলেই মনে করা হতো। এখন সেখানে আরব আলীর বেগুন ক্ষেতের সাফল্য দেখে অনেকেই অবাক।

কঠোর পরিশ্রম ও মনের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রায় ১ একর জমিতে ‘দেশীয় উন্নত জাতের গোল বেগুন’ রোপণ করেন কৃষক আরব আলী। চারা রোপণের পর দুই মাসের ঋেণরে বেগুন বিক্রি শুরু করেন। প্রায় ৬ মাস এই বেগুন বিক্রি করে তিনি অন্তত লাখ টাকা আয় করেন।

আরব আলী বেগুন চাষের পাশাপাশি পুকুরেও মাছ চাষ করেন। দূর্গাপুর বাজারে  রয়েছে মাছ ও মোরগের খাবার বিক্রির দোকান। জমি ও পুকুরের দেখভালের সাথে তিনি ব্যবসা চালিয়ে সৎপথে জীবিকা নির্বাহ করছেন।

দেখা গেছে, আরব আলী জমিতে পরিচর্যায় ব্যস্ত। প্রায় প্রতিদিনই জমি থেকে বেগুন সংগ্রহ করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছেন। বর্তমানে প্রতিকেজি বেগুন ২৫ থেকে ২৮ টাকায় বিক্রি করতে হছে। মৌসুমের শুরুতে ৩৫ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আরব আলী সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘শ্রম দিলে ফল আসে। বিষমুক্ত বেগুন চাষে সফল হয়েছি। এটা আমার কাছে গর্বের।’

এ বেগুন চাষে সবচেয়ে বেশি সহযোগীতা পেয়েছেন গোপালপুরের আরেক কৃষক ফারুক আহমেদের কাছ থেকে। এজন্য তিনি তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। কৃষক ফারুক আহমেদ বলেন, ‘চেষ্টা করলেই বিষমুক্ত সবজি চাষ করা যায়। জৈব সার প্রয়োগ করে বেগুন চাষে সেই সাফল্যের প্রমাণ দিলেন কৃষক আরব আলী।’

হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ জালাল উদ্দিন বলেন, ‘দেশী উন্নত গোল বেগুন চাষ করে সফল কৃষক আরব আলী। তার কেমিক্যালমুক্ত চাষাবাদ দেখে অন্যান্য চাষিরাও ভালমানের বেগুন চাষে উদ্বুদ্ধ হছে।

হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ তমিজ উদ্দিন খান বলেন, চেষ্টা করলে ফল আসবেই। বীজ রোপণ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে গোল বেগুন আসে। জমিতে জৈব সার প্রয়োগ করেই ভাল বেগুন উৎপাদন সম্ভব।